দক্ষিণ সিটির তিন কর্মচারী ঢাকায় ফ্ল্যাট–প্লটের মালিক দুদকের তদন্ত শুরু

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তিন কর্মচারী অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক হয়েছেন। সরকারি চাকরির বেতনভুক্ত হলেও তাদের নামে রয়েছে ফ্ল্যাট ও প্লট। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করেছে। দক্ষিণ সিটির ঝাড়ুদারদের এ সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে স্বচ্ছতা, দুর্নীতি ও প্রশাসনিক জবাবদিহি নিয়ে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একাধিক ঝাড়ুদারের বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে জানা গেছে, অন্তত তিনজন ঝাড়ুদার বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাদের কারও রয়েছে রাজধানীতে ফ্ল্যাট ও প্লট, আবার কারও সন্তান উচ্চশিক্ষার জন্য পড়াশোনা করছে কানাডায়। সাধারণ সরকারি চাকরির বেতনভুক্ত কর্মচারী হয়েও তাদের এ অস্বাভাবিক সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
দক্ষিণ সিটির অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, এই ঝাড়ুদাররা দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বে থাকলেও আনুষ্ঠানিক বেতনের বাইরে বিভিন্ন অনিয়ম ও প্রভাব খাটিয়ে সম্পদ গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তাদের নামে একাধিক ফ্ল্যাট, জমি ও ব্যাংক হিসাবে বিপুল অর্থের সন্ধান মিলেছে।
সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। দুদকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঝাড়ুদার পদে থাকা কর্মচারীর সম্পদের এ ধরনের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দুর্নীতির সুস্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে। শিগগিরই তাদের সম্পদ বিবরণী যাচাই ও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে।
অন্যদিকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর এবং প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা আরও বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সব স্তরের কর্মচারীদের কার্যক্রম নজরদারির আওতায় আনা হবে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, সাধারণ কর্মচারীর এ ধরনের অস্বাভাবিক সম্পদ গড়ে ওঠা শুধু দুর্নীতির ইঙ্গিতই নয়, বরং প্রশাসনিক দুর্বলতার প্রতিফলন। এ ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে কীভাবে দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের অনিয়ম অদৃশ্য থেকে গেল।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।