ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ব্রিটেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। গাজায় ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার লেবার পার্টির ভেতর থেকেই ব্যাপক চাপে রয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর শেষ হওয়ার পরই এ ঘোষণা আসতে পারে। আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ট্রাম্পের সফর শেষ হলে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এর আগে জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেছিলেন, গাজার মানবিক দুর্ভোগ কমাতে ইসরাইল যদি কোনো বাস্তব পদক্ষেপ না নেয় এবং হামাসের সঙ্গে চলমান সংঘাত বন্ধ না করে, তবে ব্রিটেন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হবে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ফ্রান্স, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরাইল অভিযোগ তুলেছে যে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে হামাসকে পুরস্কৃত করার সামিল। এই অবস্থায় পশ্চিমা জোটে বিভক্তি আরও প্রকট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ইউরোপীয় মিত্ররা যদি এমন পদক্ষেপ নেয় তবে তাদের সমর্থন থাকবে না। যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে মন্তব্য করেছিলেন যে, ব্রিটেন চাইলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং তাতে তাঁর কোনো আপত্তি নেই।
লেবার পার্টির চাপ ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে স্টারমার বলেছেন, গাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইসরাইল পদক্ষেপ না নিলে আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। ব্রিটেন দীর্ঘদিন ধরেই মধ্যপ্রাচ্যে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছে। তবে বাস্তবায়নের জন্য তারা সবসময় ‘উপযুক্ত সময়’-এর কথা উল্লেখ করেছে। চলমান সংঘাত এবং আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সেই সময় যে এবার এসে গেছে, এমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে কূটনৈতিক মহল।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।