ইউএই সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্তের বিস্তারিত কারণ প্রকাশ না করলেও একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি, সন্ত্রাসবাদ বা অবৈধ কার্যকলাপ প্রতিরোধ, উপসাগরীয় অঞ্চলের কূটনৈতিক টানাপোড়েন এবং কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মতো বিষয়গুলোকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি অস্থায়ী সিদ্ধান্ত এবং নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে পুনর্বিবেচনা করা হবে।

ইউএই ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া, লেবানন, বাংলাদেশ, ক্যামেরুন, সুদান ও উগান্ডা। এই তালিকাভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকরা বর্তমানে টুরিস্ট ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারছেন না।

এ নিষেধাজ্ঞা ইউএই ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কূটনৈতিক ও প্রবাসী সম্পর্কের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফ্রিকান অঞ্চলের প্রবাসীরা ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন বা নতুন চাকরির আবেদন করতে গিয়ে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। একইসঙ্গে ব্যবসা ও পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে ইতোমধ্যে যারা বৈধ ভিসা নিয়ে ইউএই-তে বসবাস করছেন, তারা এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন না এবং তাদের বৈধ কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।

ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী ভিসার আবেদন এবং বৈধ উপায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ পুনরায় চালু হবে। তবে ইউএই সরকার কবে এই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করবে তা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।