রাবিতে পোষ্যকোটা পুনর্বহাল, ২২ ঘন্টা ধরে অনশনে শিক্ষার্থীরা

- Author, জুবায়ের জামিল (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়)
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শর্তসাপেক্ষে পোষ্যকোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে গতকাল বিকেল থেকে আমরণ অনশন করছে কয়েকজন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জোহা চত্বরে এই অনশন করছেন তারা। ২২ ঘন্টা পার হলেও তারা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন দুজন শিক্ষার্থী। তারা হলেন সমাজকর্ম বিভাগের ২৪-২৫ সেশনের ইস্পাহানি ও আরবি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রমজানুল মোবারক। তাদেরকে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে তুমুল বৃষ্টির মধ্যেও তাদেরকে অনশন করতে দেখা যায়। গতকাল বিকাল ৫টায় প্রথম এককভাবে অনশনে বসেন সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আসাদুল ইসলাম। এরপর তার সাথে একত্বতা পোষণ করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।
এ সময় অনশনরত ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সজিবুর রহমান বলেন, আমরা গতকাল রাত থেকে বসে আছি, রোদে পুড়ছি, বৃষ্টিতে ভিজছি, মশার কামর খাচ্ছি। আমাদের শরীরের অবস্থা কি? তাও কেও আমাদের দেখতে আসেনি।
অনেকে স্লোগান দিয়েছিলো রক্ত লাগলে রক্ত নে, পোষ্য কোটার কবর দে। তাদের রক্ত দেওয়া শেষ। আমাদের এখনো রক্ত দেওয়া শেষ হয়নি, আমরা আছি। যতক্ষণ নাকে সমাধান হবে আমরা আছি। আমাদের কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না, এখনো নেই। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমি এখানে আছি এবং থাকবো।
সমাজকর্ম বিভাগের ২৪-২৫ সেশনের শিক্ষার্থী সানজিদা বলেন, আমার ভাইয়েরা গতকাল থেকে বৃষ্টিতে ঘুরছে, রোদে পুড়ছে, মশার কামড় খাচ্ছে তাদেরকে দেখার মত কেউ নাই। আমি বলতে চাই প্রশাসনের নামেই প্রহসন আর কতদিন? আমরা যেখানে ৬০-৬৫ পেয়ে ভর্তি হতে পারি না সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকতা কর্মচারীদের সন্তানেরা নাম মাত্র পাশ নাম্বার পেয়ে কিভাবে ভর্তি হয়?
তিনি আরও বলেন, তারা তাদের সন্তানদেরকে কেন এতটা ইনসিকিউর? তাদের কি তাদের সন্তানদের প্রতি আত্মবিশ্বাস নাই যে তারা যোগ্যতায় ভর্তি হবে। এইভাবে ভিক্ষাবৃত্তি আর কতদিন? এখানে যারা আছে সবাই তার মায়েদের কলিজার টুকরা। তারা যে এভাবে নির্যাতিত হচ্ছে এগুলো দেখার কি কেউ নেই?
বেলা একটার দিকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম কনককে। তিনি বলেন, আমি মূলত ছাত্রদের খোঁজখবর নিতে এখানে এসেছি। তাদের সাথে কথা বলে বুঝতে পেরেছি, তারা খুব কষ্টের মধ্যে আছে। তাই আমি নিজেও তাদের সঙ্গে অনশনে যোগ দিয়েছি।
ইতিমধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে, আমরা তাদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে পাঠিয়েছি।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।