আইসিজের ৬৩ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো চুক্তির ব্যাখ্যা সম্পর্কিত মামলা হলে জাতিসংঘের যেকোনো সদস্যরাষ্ট্র এতে যোগ দিতে পারে। সেই ধারার আওতায় ব্রাজিল ইসরাইলের কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা কনভেনশনের লঙ্ঘন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর আগে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, গাজা ও পশ্চিমতীরে ইসরাইলের আগ্রাসন আন্তর্জাতিক আইনকে ক্ষুণ্ন করছে এবং ‘দায়মুক্তি’ ভোগ করছে ইসরাইল।

আদালত জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইসরাইলকে ব্রাজিলের হস্তক্ষেপের ঘোষণার বিষয়ে লিখিত পর্যবেক্ষণ জমা দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে মামলার কার্যক্রমে ব্রাজিলও আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হলো।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলায় ইতোমধ্যে স্পেন, আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো, তুর্কি ও আরও কয়েকটি দেশ যোগ দিয়েছে। ব্রাজিলের অংশগ্রহণের ফলে মামলাটির আন্তর্জাতিক পরিসর আরও বিস্তৃত হলো। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, মামলার চূড়ান্ত রায় আসতে আরও কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।

এর আগে, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আদালত এক অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে ইসরাইলকে গাজায় গণহত্যা ঠেকাতে পদক্ষেপ নিতে এবং মানবিক সাহায্যের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি আদালত রায় দেয় যে, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের উপস্থিতি বেআইনি এবং সেখানকার নীতি কার্যত দখলের সমতুল্য।

আন্তর্জাতিক মহলে মামলাটিকে ইসরাইলের প্রতি জবাবদিহিতার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ব্রাজিলের যুক্ত হওয়া এ প্রক্রিয়ায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে কূটনৈতিক মহলের অভিমত।