রাতভর পাল্টাপাল্টি হামলায় ইউক্রেন-রাশিয়ায় নিহত ৭

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান সংঘাত আবারও তীব্র আকার ধারণ করেছে। রাতভর পাল্টাপাল্টি হামলায় দুই দেশেই প্রাণহানি ঘটেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, রাশিয়ার বিমান হামলায় অন্তত তিনজন নিহত এবং ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আবাসিক ভবন ও বেসামরিক স্থাপনা। হামলাগুলো মূলত নিপ্রোপেত্রোভস্ক, মাইকোলাইভ, চেরনিহিভ, জাপোরিঝিয়া, পোলতাভা, কিয়েভ, ওডেসা, সুমি ও খারকিভ অঞ্চলে পরিচালিত হয়।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, রাশিয়া একযোগে ৬১৯টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইউক্রেন দাবি করেছে, রুশ হামলার লক্ষ্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও শিল্প স্থাপনা। অপরদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের হামলায় ‘নির্ভুল অস্ত্র’ ব্যবহার করা হয়েছে এবং মূলত সামরিক-শিল্প স্থাপনাগুলোকে টার্গেট করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনও পাল্টা ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সামারা অঞ্চলে। এতে চারজন নিহত হন। কিয়েভ দাবি করেছে, হামলার লক্ষ্য ছিল একটি প্রধান তেল শোধনাগার। এছাড়া পার্শ্ববর্তী সারাতোভ অঞ্চলেও আরেকটি রুশ তেল শোধনাগার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ হামলার বিষয়ে রাশিয়ার তরফ থেকে এখনও বিস্তারিত কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানান, বেসামরিক এলাকায় নির্বিচারে আক্রমণ প্রমাণ করছে রাশিয়ার ‘আগ্রাসী কৌশল’। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান, ইউক্রেনকে আরও সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে এসব হামলা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা নিতে।
এ সংঘাতের ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ বাড়ছে যে, এ ধরনের ধারাবাহিক আক্রমণ আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি স্থাপনায় হামলার ঘটনায় ইউরোপের জ্বালানি বাজারেও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।