বিক্ষোভের মূল আয়োজনকারী হিসেবে পরিচিত ‘জেন-জি’ যুব সংগঠন। তারা পেরুর অব্যাহত অপরাধ, সরকারি অফিসে দুর্নীতি এবং সাম্প্রতিক পেনশন সংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি সমাজে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ৫৪ বছর বয়সী গ্ল্যাডিস বলেন, “আজ দেশের গণতন্ত্র আগের মতো নেই। সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির কারণে পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে।”

অপর এক বিক্ষোভকারী সেলিন আমাসিফুয়েন বলেন, “কংগ্রেসের কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই, এমনকি জনগণের অনুমোদনও নেই। তারা এই দেশে সর্বনাশ ডেকে আনছে।”

সংঘর্ষের সময় রেডিও স্টেশন এক্সিটোসার এক প্রতিবেদক ও একজন ক্যামেরাম্যান গুলিবিদ্ধ হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংঘর্ষে কমপক্ষে তিনজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।

এদিকে ক্রমবর্ধমান চাঁদাবাজি এবং সংঘবদ্ধ অপরাধের কারণে প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তের জনসমর্থন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। প্রেসিডেন্টের মেয়াদ আগামী বছর শেষ হবে, যা রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বিক্ষোভের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

বিক্ষোভ এবং পুলিশের সংঘর্ষ পেরুর সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার একটি প্রকাশ্য চিত্র হিসেবে দেখানো হচ্ছে।