ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল অস্ট্রেলিয়া
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
অস্ট্রেলিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মাধ্যমে দেশটি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশের কাতারে যোগ দিল। প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন। তারা বলেন, “ফিলিস্তিনি জনগণের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ও বৈধ আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান জানিয়েই অস্ট্রেলিয়া আজ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একমাত্র পথ।
অস্ট্রেলিয়ার এই পদক্ষেপের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কানাডা ও যুক্তরাজ্যও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছানো অস্ট্রেলীয় প্রতিনিধি দল এ ঘোষণা ব্যবহার করছে দুই রাষ্ট্র সমাধানের জন্য নতুন গতি সৃষ্টির প্রচেষ্টা হিসেবে। একই সময়ে ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও পর্তুগালও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার স্বীকৃতির ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে মেনে নেওয়া হয়েছে।
যদিও নির্ধারিত বৈঠকের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকার মি. আব্বাসকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। অস্ট্রেলীয় বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সংস্কার, গণতান্ত্রিক নির্বাচন ও সুশাসনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হলে দূতাবাস ও অন্যান্য কূটনৈতিক প্রটোকল চালু করা হবে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং হামাসের কোনো ভূমিকা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে গ্রহণযোগ্য নয়। গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
তবে এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা জানিয়েছে বিরোধী দল। বিরোধীদলীয় নেতারা বলেন, শান্তি প্রক্রিয়ার শেষে নয়, বরং সংঘাত চলাকালীন সময়ে এ ধরনের স্বীকৃতি দেওয়ায় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, স্বীকৃতি শান্তির পূর্বশর্ত, কোনো পরিণতি নয়।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।