মোবাইল টয়লেট প্রশিক্ষণ নিতে চীনে যাচ্ছেন তিন সরকারী কর্মকর্তা

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
স্থানীয় সরকার বিভাগের তিন কর্মকর্তা চীনে যাচ্ছেন মোবাইল টয়লেট পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে। স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মাহবুবা আইরিন স্বাক্ষরিত সরকারি আদেশে বলা হয়েছে, সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ফারুক হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সহকারী প্রোকৌশলী মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ও উপসহকারী প্রোকৌশলী মোহাম্মদ জাকির হোসেন আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে সাতদিনের জন্য চীনে অবস্থান করবেন। এ সফরের যাবতীয় ব্যয় বহন করবে উৎপাদক প্রতিষ্ঠান শ্যাংডং কিউয়ানবাই ইন্টেলিজেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড।
তবে সরকারি নীতিমালায় বলা আছে, কোনো ঠিকাদার বা উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ অনৈতিক এবং স্বার্থসংঘাতের জন্ম দিতে পারে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ও দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের ভ্রমণ পরিহারের নির্দেশনা দিয়ে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন সফর কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনে প্রভাব ফেলে এবং মানসম্মত পণ্য ও সেবা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে প্রশ্ন তৈরি করে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ কমানোর নির্দেশনা থাকলেও তা যথাযথভাবে মানা হচ্ছে না।
উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে বিদেশ সফর অনৈতিক এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতি কর্মকর্তাদের আনুগত্য সৃষ্টি করে। সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞাও মন্তব্য করেছেন, বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নির্দেশনা মেনে চলা বাধ্যতামূলক এবং এর ব্যত্যয় চাকরিবিধির পরিপন্থী।
বিগত সময়েও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রায় ৩৫ কর্মকর্তা ঠিকাদার বা উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন বলে জানা যায়। সাধারণত এসব ভ্রমণ যন্ত্রপাতি, ট্রেইলার বা স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট পরিচালনা প্রশিক্ষণ বা ফ্যাক্টরি টেস্টের নামে অনুমোদন পেয়ে থাকে। যদিও সরকারি বিধি অনুসারে বিদেশ ভ্রমণ কেবল ন্যূনতম, অপরিহার্য এবং জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রেই অনুমোদনযোগ্য।
মোবাইল টয়লেট পরিচালনা প্রশিক্ষণের এই সফর আবারও সরকারি নীতি ও নির্দেশনার ব্যত্যয় হিসেবে আলোচিত হচ্ছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।