ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলা পৃথকে হাইকোর্টে রুল

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলার আলাদা আসন করা বিষয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছে। ফরিদপুর-৪ আসন অন্তর্ভুক্ত ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলার মধ্যে ভাঙ্গা উপজেলাকে পৃথক করে ফরিদপুর-৫ আসন কেন সৃষ্টি করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করা হয়েছে। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই আদেশ দেন। আদালত নির্বাচন কমিশনকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ওই প্রজ্ঞাপনে চরভদ্রাসন, সদরপুর ও ভাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়ন বাদে অন্তর্ভুক্ত করে ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই প্রজ্ঞাপনকে চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া রিটে জাতীয় সংসদের সীমানা নির্ধারণী আইন, ২০২১-এর ৭ ধারা এবং সংবিধানের ১২৫(ক) অনুচ্ছেদকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
রিটে আবেদনকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, জিয়া শিশু-কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহ আলম রেজা, আইনজীবী এম. ফাহাদ খান, ব্যবসায়ী এম. এম. শহিদুল ইসলাম শাহীন এবং সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলার ১৬ জন নাগরিক।
২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন ফরিদপুর-৪ ও ফরিদপুর-৫ দুটি আসনকে একত্রিত করে তিনটি উপজেলার সমন্বয়ে ফরিদপুর-৪ আসন গঠন করেছিল। তবে আবেদনকারীরা পুরনো অবস্থায় দুটি স্বতন্ত্র সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবি জানালে নির্বাচন কমিশন তা প্রত্যাখ্যান করে।
পরবর্তীতে ভাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়ন পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এই বিষয়ে হাইকোর্ট পরবর্তী রুল জারি করেছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।