জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের জন্য বিইউএফটিতে বিশেষ স্কলারশিপ ড. আইয়ুব খান

জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের জন্য বিইউএফটিতে বিশেষ স্কলারশিপ ড. আইয়ুব খান
ছবির ক্যাপশান, জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের জন্য বিইউএফটিতে বিশেষ স্কলারশিপ ড. আইয়ুব খান
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আর্থিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য বিইউএফটি বিশেষ স্কলারশিপ ঘোষণা করেছে। অধ্যাপক ড. আইয়ুব নবী খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের সহায়তায় উদ্যোগ নিয়েছে।

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) দেশের ফ্যাশন, টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস প্রযুক্তি-ভিত্তিক শিক্ষার অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ধারাবাহিকভাবে শিক্ষার মান ও অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাস

রাজধানীর উত্তরার তুরাগে ৫ একর জমির ওপর নির্মিত হয়েছে। এখানে রয়েছে ১০ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন, যার মোট ফ্লোর স্পেস প্রায় ৫ লাখ বর্গফুট। এতে আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, ৫৩টি ল্যাবরেটরি, ডিজাইন স্টুডিও, সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, সুইমিংপুল, ইনডোর ও আউটডোর খেলার মাঠ, ওয়াই-ফাই সংযোগ এবং ২৩টি স্টুডেন্ট ক্লাবসহ রয়েছে প্রয়োজনীয় সকল আধুনিক সুবিধা।

বিইউএফটিতে বর্তমানে সাতটি অনুষদ, ১৩টি বিভাগ এবং ২২টি একাডেমিক প্রোগ্রামের পাশাপাশি একটি ইনস্টিটিউট, দুটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও একটি গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাত ২০:১, যা প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য পর্যাপ্ত নির্দেশনা নিশ্চিত করে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দ্রুত অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে এবং ফি প্রদানে নমনীয়তা প্রদর্শন করে প্রশংসিত হয়েছে। সম্প্রতি জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ স্কলারশিপ ও কিস্তিতে ফি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

বিইউএফটি শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত করতে ইন্ডাস্ট্রি-ভিত্তিক প্রকল্প, ইন্টার্নশিপ, চাকরি মেলা, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং এবং শিল্পভ্রমণের ব্যবস্থা করে থাকে। ফলে শিক্ষার্থীরা দেশি-বিদেশি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থান লাভের পাশাপাশি অনেকেই সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজস্ব ব্র্যান্ড গড়ে তুলছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছে নতুন বিভাগ চালু, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার, উদ্যোক্তা উন্নয়ন কেন্দ্র ও ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া ইনোভেশন হাব প্রতিষ্ঠা এবং শিল্প সংশ্লিষ্ট গবেষণা কার্যক্রম সম্প্রসারণ। দক্ষ পেশাজীবী তৈরি এবং দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে চলেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি মেধাবী ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য ১৬ ধরনের স্কলারশিপ ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শতভাগ ফি মওকুফ, মেধাভিত্তিক বৃত্তি এবং আর্থিক প্রয়োজনভিত্তিক বিশেষ সহায়তা।

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ