এনসিপি আখতার হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ মঙ্গলবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে প্রকাশিত এক স্ট্যাটাসে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

স্ট্যাটাসে হাসনাত লেখেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে পুলিশ, প্রশাসন কিংবা আদালতের মাধ্যমে আখতার হোসেনকে দমন করা সম্ভব হয়নি। অথচ বিদেশে বসে কিছু গোষ্ঠী প্রতিরোধের প্রতীক আখতারকে দমন করার চেষ্টা করছে, যা সফল হবে না। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এভাবে প্রতিহত করা কখনো সম্ভব নয়।

হাসনাত আরো উল্লেখ করেন, আওয়ামী দালালদের পক্ষে যারা টকশো ও যুগলবন্দি কলামে মতামত তৈরি বা ‘সম্মতি’ উৎপাদন করেন, তাদেরও প্রত্যাখ্যান করা জরুরি। অন্যথায় ভবিষ্যতে একই ধরনের আক্রমণের শিকার হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

এর আগে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পর এনসিপি সদস্যসচিব আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপসহ হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা।

ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাসনিম জারা পোস্ট দিয়ে বলেন, এটি কেবল আখতার হোসেনের ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়, বরং তার রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে সংঘটিত হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, আক্রমণকারীরা ফ্যাসিবাদের কাঠামো ভাঙার লড়াইয়ে নিয়োজিত দলের প্রতিনিধিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।

ডা. তাসনিম জারা আরও লিখেছেন, এই হামলা প্রমাণ করে পরাজিত শক্তির ভয় ও হতাশা কতটা গভীর। তবে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস প্রকাশ করেন যে, এ ঘটনায় আখতার হোসেন দুর্বল হবেন না; বরং তার রাজনৈতিক সংকল্প আরও জোরদার হবে।

এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে জরুরি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, আক্রমণের সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্যান্য সফরসঙ্গীরাও উপস্থিত ছিলেন এবং তারাও আওয়ামী লীগের হামলার মুখে পড়েন। তবে হামলার মূল লক্ষ্যবস্তু ছিলেন এনসিপি নেতারা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জুলাই বিপ্লবের সময় যারা জীবন বাজি রেখে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের প্রতি প্রতিশোধপরায়ণ শক্তির ক্ষোভ আজও অব্যাহত।

আখতার হোসেনকে এর আগে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করেছিল, আজও সেই সংগ্রামের মূল্য তিনি দিচ্ছেন। এনসিপি মনে করে, এই ধরনের ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারের চরম ব্যর্থতার দিক নির্দেশ করে।