“ট্রাইব্যুনালে প্রত্যক্ষদর্শীর জবানিতে আশুলিয়ার ভয়াল দিন” ট্রাইব্যুনালে ভাঙারি ব্যবসায়ী মতিবর

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ট্রাইব্যুনালে প্রত্যক্ষদর্শীর জবানিতে উঠে এলো আশুলিয়ার ভয়াল দিন। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে পুলিশের গুলি ও ছয় তরুণের লাশ পোড়ানোর নৃশংস বর্ণনা শুনল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার এই সাক্ষ্য বাংলাদেশে ন্যায়বিচার ও গণহত্যার ইতিহাসে নতুন মাত্রা যোগ করল।
আশুলিয়ায় জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় পুলিশের হাতে ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন ভাঙারির ব্যবসায়ী মতিবর রহমান ওরফে বুইদ্দা। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের সামনে তিনি এ জবানবন্দি দেন।
৬০ বছর বয়সী মতিবর জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দুপুরে সরকার পদত্যাগের পর আশুলিয়ায় আন্দোলনকারীদের মিছিল চলাকালে পুলিশ গুলি চালায়। এতে কয়েকজন নিহত হন। পরে তাদের লাশ থানার সামনে নিয়ে গাড়িতে তুলে আগুন ধরিয়ে দেয় পুলিশ। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত গুলি চলে এবং এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
সাক্ষী আরও জানান, পরদিন সেনাবাহিনী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ঘটনাস্থলে আসার পর তিনি নিজে ছয়টি লাশ পলিথিনে প্যাকেট করেন এবং জানাজার ব্যবস্থা করেন। নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় শনাক্ত করে পরিবার লাশ নিয়ে যায়। তবে দুটি লাশের অভিভাবক না পাওয়ায় আমতলা কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা চলছে। মঙ্গলবার ছিল মামলার চতুর্থ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ। এদিন কারাগার থেকে আট আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তারা হলেন সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, সাবেক অতিরিক্ত সুপার মো. শাহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান, আবজাল ও কনস্টেবল মুকুল। তবে সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ বাকি আটজন এখনও পলাতক।
আশুলিয়ায় জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় পুলিশের হাতে ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন ভাঙারির ব্যবসায়ী মতিবর রহমান ওরফে বুইদ্দা। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের সামনে তিনি এ জবানবন্দি দেন।
৬০ বছর বয়সী মতিবর জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দুপুরে সরকার পদত্যাগের পর আশুলিয়ায় আন্দোলনকারীদের মিছিল চলাকালে পুলিশ গুলি চালায়। এতে কয়েকজন নিহত হন। পরে তাদের লাশ থানার সামনে নিয়ে গাড়িতে তুলে আগুন ধরিয়ে দেয় পুলিশ। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত গুলি চলে এবং এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
সাক্ষী আরও জানান, পরদিন সেনাবাহিনী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ঘটনাস্থলে আসার পর তিনি নিজে ছয়টি লাশ পলিথিনে প্যাকেট করেন এবং জানাজার ব্যবস্থা করেন। নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় শনাক্ত করে পরিবার লাশ নিয়ে যায়। তবে দুটি লাশের অভিভাবক না পাওয়ায় আমতলা কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা চলছে। মঙ্গলবার ছিল মামলার চতুর্থ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ। এদিন কারাগার থেকে আট আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তারা হলেন সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, সাবেক অতিরিক্ত সুপার মো. শাহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান, আবজাল ও কনস্টেবল মুকুল। তবে সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ বাকি আটজন এখনও পলাতক।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।