মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মাইনুল ইসলাম খান পুলক এদিন কামরুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আফতাব আহমেদ রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত বছরের ১৮ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর থেকে কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেফতারের পর থেকে তিনি একাধিক দফা রিমান্ডে ছিলেন এবং বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট ‘জুলাই আন্দোলন’ চলাকালে শাহবাগ থানার চাঁনখারপুল এলাকায় ক্ষুদ্র জুট ব্যবসায়ী মো. মনির ছাত্র-জনতার সাথে আন্দোলনে অংশ নেন। দুপুরে আন্দোলনকারীদের ওপর আসামিদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। পরে নিহতের স্ত্রী রোজিনা আক্তার গত ১৪ মার্চ শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোট ৩৫১ জনকে এজাহারনামীয় ও ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এ মামলায় কামরুল ইসলাম ৭ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি হিসেবে চিহ্নিত।

প্রসঙ্গত, এ মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, মামলার প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন এবং দায়ীদের শনাক্তে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। আদালতের নির্দেশে আগামী কয়েক দিন ডিবি পুলিশ রিমান্ডে সাবেক মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।