মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ফরিদপুর জেলা মাহেন্দ্র মালিক সমিতির সেক্রেটারি সাতজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলায় লিমনকে ৬ নম্বর এবং শুভ্র রায়কে ৭ নম্বর আসামি করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাহেব আলী জানান, গ্রেফতারকৃত দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে শহরের ব্যস্ততম ভাঙ্গা মোড়ে প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এসময় যাত্রী পরিবহনের জন্য অপেক্ষমাণ ১৬টি মাহেন্দ্র গাড়ি ভাংচুর করা হয় এবং কয়েকজন চালককে মারধর করে আহত করা হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এবং পরিবহন কার্যক্রম কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।

মাহেন্দ্র মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর থেকে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি লিমনের নেতৃত্বে প্রতিটি ট্রিপে ৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছিল। তবে গত ১৫ দিন ধরে মালিকরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে যাত্রী ওঠানো নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে হামলা চালানো হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, চাঁদাবাজি ও ভাংচুরে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় মামলা ও গ্রেফতারের পর ফরিদপুর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।