কাতারে ইসরাইলি হামলার ঘটনায় আরব বিশ্বের প্রতিবাদ, আমেরিকার সমর্থন

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
কাতারের দোহায় ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা ও আরব বিশ্বের প্রতিক্রিয়ার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়াকে নতুনভাবে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর কাতারে ইসরাইলি বিমান হামলার প্রতিক্রিয়ায় সোমবার দোহায় আয়োজিত এক জরুরি আরব-ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনে এই হামলাকে ‘সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন’ এবং ‘চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র’ হিসেবে উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, হামলার লক্ষ্যবস্তু হওয়া হামাসের আলোচকরা তখন মার্কিন প্রস্তাব পর্যালোচনা করছিলেন।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী আরব ও ইসলামিক রাষ্ট্রপ্রধানরা কাতারের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রতি পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেন এবং ইসরাইলের এই আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় কাতারের যেকোনো পদক্ষেপে সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তারা ইসরাইলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রস্তাবিত পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক পর্যালোচনা, অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ এবং জাতিসংঘে ইসরাইলের সদস্যপদ স্থগিত করার প্রচেষ্টা।
ঠিক একই সময়ে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইসরাইলে গিয়ে ইসরাইলের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, হামাসের অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন করা অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সফর ইসরাইলের সামরিক অভিযানকে বৈধতা দিচ্ছে এবং যুদ্ধবিরতি রক্ষা করার সম্ভাবনা কমাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে কায়রো ভিত্তিক আল-ফারাবি সেন্টারের মহাসচিব মোখতার ঘোবাশি যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সহ-অপরাধী’ হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, ওয়াশিংটনের একপেশে সমর্থন অব্যাহত থাকায় মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি অর্জন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।