শেরিং তোবগে বলেন, ভুটানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ‘গেলেপু মাইন্ডফুলনেস সিটি’ (জিএমসি)-কে কুড়িগ্রামে ভুটানি বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ধারিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করা গেলে উভয় দেশ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। বৈঠকে তিনি ধর্মীয় পর্যটন, জলবিদ্যুৎ, ওষুধশিল্পে সহযোগিতা ও বিনিয়োগের বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন। ভুটান বাংলাদেশের ফাইবার অপটিক সংযোগ স্থাপনে সহযোগিতা চায় বলেও জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ভুটানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটান উন্নত যোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। তিনি দুই দেশকে বাণিজ্য সম্প্রসারণের সব সুযোগ অনুসন্ধান করতে আহ্বান জানান।

এ বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা হয়। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জানান, তার দেশ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসঙ্ঘ আয়োজিত পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে এ ইস্যুতে অংশ নেবে। পাশাপাশি তিনি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বাংলাদেশকে সঠিক নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিহিত করেন এবং ইউনূসকে নিজের ‘ব্যক্তিগত আদর্শ’ উল্লেখ করে ‘মাই প্রফেসর’ সম্বোধন করেন।

বৈঠকের সময় শেরিং তোবগে থিম্পুতে সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া বাংলাদেশের নতুন চ্যান্সারি ভবনের নকশার প্রশংসা করেন। বৈঠকের শেষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, যা তোবগে গ্রহণ করেন। তিনি জানান, সম্ভব হলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার আগে বাংলাদেশ সফর করবেন।