ইরানি জনগণ তাদের স্বাধীনতা ফিরে পাবে ও তেহরানকে মহান করে তুলবে : নেতানিয়াহু

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ইরানি জনগণ তাদের স্বাধীনতা ফিরে পাবে এবং তেহরানকে পুনরায় মহান করে তুলবে, জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এই মন্তব্যে মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক পরিবর্তন, ইরান-ইসরাইল সম্পর্ক ও ভবিষ্যৎ শান্তি প্রক্রিয়ার ওপর আলোকপাত হয়েছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের মঞ্চে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শুক্রবার ইরানের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ইরানি জনগণ তাদের স্বাধীনতা ফিরে পাবে এবং দেশকে পুনরায় মহান রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করবে। নেতানিয়াহু আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে অদূর ভবিষ্যতে মধ্যপ্রাচ্যে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানে আয়াতুল্লাহদের শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে একাধিক গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে, যা ইসলামী প্রজাতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। তিনি আরও বলেন, আজ যারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, তাদের অনেকেই ভবিষ্যতে স্থানান্তরিত হবে এবং সাহসী শান্তি প্রতিষ্ঠাকারীরা তাদের স্থান দখল করবে।
নেতানিয়াহু দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের কথাও উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, ইসরাইল ও ইরানের জনগণ এমন বন্ধুত্ব পুনরায় স্থাপন করবে যা সমগ্র বিশ্বের জন্য উপকারি হবে। ইতিহাস অনুযায়ী, ১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের আগে ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল। বিপ্লবের পর আয়াতুল্লাহরা পশ্চিমা-বন্ধু শাহকে উৎখাত করে দেশটিকে ধর্মতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করে, এবং পরবর্তীতে ইরান মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের প্রধান শত্রু হিসেবে আবির্ভূত হয়।
ইরান সম্প্রতি বিভিন্ন প্রক্সি মিলিশিয়ার মাধ্যমে ইসরাইলের বিরুদ্ধে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছরের জুনে দুই দেশের মধ্যে ১২ দিনের সরাসরি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের সময় ইসরাইলি বিমান ইরানের প্রতিরক্ষা স্থাপনা ধ্বংস করেছে, এবং পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ইরান দীর্ঘদিন ধরে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।