ইসরায়েলের ব্যর্থতা, ১৬ পাইলট নিহতের দাবি ইরানি জেনারেলের

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ১৩ দিনের যুদ্ধে অন্তত ১৬ পাইলট নিহতের দাবি করেছেন ইরানি জেনারেল ইয়াহিয়া রাহিম-সাফাভি। আক্রমণে ইসরায়েলের কমান্ড সেন্টার ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষ, সামরিক শক্তি, আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রাহিম-সাফাভি দাবি করেছেন, ইরান ও ইসরায়েলের ১৩ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের অন্তত ১৬ জন পাইলট নিহত হয়েছেন। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বার্তাসংস্থা মেহের নিউজ তার বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে।
তিনি জানান, যুদ্ধের প্রথম দুই থেকে তিন দিনে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা তথ্যের কিছু দুর্বলতা প্রকাশ পেলেও দ্রুতই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। চতুর্থ দিন থেকে যুদ্ধের ভারসাম্য ইরানের দিকে ঝুঁকে পড়ে এবং শেষের দিনগুলোতে ইরান আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়।
রাহিম-সাফাভির দাবি, বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও এই যুদ্ধে ইরানের সাফল্যকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, ইসরায়েল ইরানকে অস্থিতিশীল করা এবং সামরিক ও পারমাণবিক শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছিল, তবে তাদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
জেনারেল জানান, ইরান ইসরায়েলের কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও টার্মিনালগুলোতে আঘাত হেনেছে। এতে ইসরায়েলিরা নত হতে বাধ্য হয় এবং সেই সময়েই ইরানি অভিযানে ইসরায়েলের ১৬ জনের বেশি পাইলট নিহত হয়।
এ ছাড়া তিনি দাবি করেন, ইরানি হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলকে ৬০০ থেকে ৬৫০টি আকাশ প্রতিরক্ষা মিসাইল ব্যবহার করতে হয়েছে, যা তাদের মিসাইল ভাণ্ডারকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইরান তাদের সামরিক শক্তি পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরায়েল বিনা উসকানিতে ইরানে হামলা চালায়। এর পরপরই ইরান পাল্টা হামলা শুরু করলে টানা ১৩ দিন দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলে। পরবর্তীতে উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।