নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে পুরো বিশ্বের সমর্থন রয়েছে

নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে পুরো বিশ্বের সমর্থন রয়েছে
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দুর্বার গতিতে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে পুরো বিশ্বের সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকের ফাঁকে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমরা যে বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছি তাতে দেশ ও বিশ্বের সবার সমর্থন আছেন। বড় বড় দেশগুলো আমাদেরকে বলছে তোমাদের কী চাই, আমরা তোমাদের পাশে আছি।

তিনি আরো বলেন, প্রথম ছয় মাস অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য প্রথম ইনিংস বা অধ্যায় ছিল। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়েছে। 

শফিকুল আলম বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে আজকের মিটিংয়ে ২৬টি দল ও জোটের ১০০ জনের মতো রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন। যতগুলো পার্টিকে ইনভাইট করেছি সবাই মিটিংয়ে এসেছেন। মিটিংয়ে প্রধান উপদেষ্টা দীর্ঘসময় বক্তব্য দিয়েছেন।

এর আগে, এদিন বিকেল ৩টার পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক শুরু হয়।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত রয়েছেন। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না,ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, গণ ফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর,  জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতারা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রিয়াজ, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন,  নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।

ত্রয়োদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের কার্যক্রমসহ নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের জন্য জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপের সুপারিশ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এই কমিশনের সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।  


সম্পর্কিত নিউজ