বিক্ষোভকারীরা জানান, তারা সেই ১৭ হাজার শ্রমিকের অন্তর্ভুক্ত, যারা মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ২০২৪ সালের ৩১ মে’র মধ্যে যাত্রা করতে পারেননি। তাদের দাবি, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে যাওয়ার জন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেও শেষ পর্যন্ত যাত্রা সম্ভব হয়নি। এদিকে প্রত্যেকের ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে, যার অধিকাংশই ঋণ হিসেবে জোগাড় করা।

বক্তব্যে শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করেও তারা সমাধান পাননি। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না বলে ঘোষণা দেন।

বিক্ষোভকারীরা পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। প্রথমত, যেসব শ্রমিকের ই-ভিসা ৩১ মে’র আগে ইস্যু হয়েছে কিন্তু বিএমইটির ছাড়পত্র পাননি, তাদের দ্রুত মালয়েশিয়া পাঠাতে হবে।

দ্বিতীয়ত, নতুন সাক্ষাৎকার হোক বা না হোক, কোনো শ্রমিককে প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা যাবে না।

তৃতীয়ত, দ্রুত একটি নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে এবং লিখিতভাবে স্মারকলিপি দিতে হবে।

চতুর্থত, প্রধান উপদেষ্টা ও প্রবাসীকল্যাণ উপদেষ্টার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মারকলিপি জমা দিতে হবে।

পঞ্চমত, লিখিত সময়সীমার মধ্যে শ্রমিকদের পাঠানো সম্ভব না হলে সরকারকে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

এদিকে আন্দোলন চলাকালে ভোগান্তিতে পড়া সাধারণ যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধের কারণে জরুরি কাজে দেরি হচ্ছে। তবে বিক্ষোভকারীরা দাবি আদায়ের অনড় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে জানান, লিখিত নিশ্চয়তা ছাড়া তারা আন্দোলন স্থগিত করবেন না।