প্রতি কেজি ১৫২৫ টাকা দরে ৯৯ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ভারতের বাজারে বিশেষ ছাড়ের আওতায় ইলিশ রপ্তানি অব্যাহত রয়েছে। গত দশ দিনে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে মোট ৯৯ টন ৮৬ কেজি বা ৯৯,০৮৬ কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ধরা হয়েছে ১২ ডলার ৫০ সেন্ট, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৫২৫ টাকা। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বেনাপোল বন্দর মৎস্য নিয়ন্ত্রণ ও মাননির্ণয় কেন্দ্রের কোয়ারেন্টিন কর্মকর্তা সজীব সাহা।
ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, দেশের মোট উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকলেও প্রতিবেশী দেশের উৎসবকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সরকার ২০১৯ সাল থেকে বিশেষ অনুমতিতে ইলিশ রপ্তানির সুযোগ দিচ্ছে। চলতি অর্থবছরে দেশে ৫ লাখ ২৯ হাজার ৪৮৭ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্য থেকে এ বছর ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যা আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিনুল হক জানান, সীমিত সরবরাহ ও অভ্যন্তরীণ বাজারে বেশি দামের কারণে রপ্তানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কম থাকবে। তিনি বলেন, গত বছর ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৪৫০ টনের অনুমতি দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ৬৩৬ টন। এর মধ্যে বেনাপোল বন্দর দিয়েই গিয়েছিল ৫৩২ টন। চলতি বছরও একই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্গোৎসবের ছুটির মধ্যেও বিশেষ ব্যবস্থায় ইলিশ রপ্তানি চলবে। বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন জানান, শনিবার সর্বশেষ ১২ টন ৮৬ কেজি ইলিশ ভারতগামী ট্রাকে পাঠানো হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুমোদিত অংশ বিশেষ রপ্তানি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানিকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেলেও সরবরাহ সংকট ও উচ্চমূল্যের কারণে এ বছর রপ্তানির পরিমাণ সীমিত থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।