গত শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তামিলনাড়ুর করুরে বিজয় থালাপতির সমাবেশে পদদলিত হয়ে অন্তত ৩৯ জন নিহত এবং আরও ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন বলে জানা গেছে।

নিজের জনসমাবেশে কর্মী-সমর্থকদের প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করে বিজয় তার এক এক্স পোস্টে এটিকে ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি লেখেন, "আমি যাদের সঙ্গে দেখা করেছি, তাদের সকলের মুখ আমার মনে ভেসে উঠছে। যতই আমার সেই প্রিয়জনদের কথা ভাবছি, ততই আরো কষ্ট হচ্ছে।"

আজ রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি হতাহতদের জন্য এই বিশাল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন।

এদিকে পদদলিত হওয়ার এই ঘটনায় ইতোমধ্যে একজন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন তৈরি করা হয়েছে।

এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে তামিলনাড়ু পুলিশের মন্তব্য, অনুষ্ঠানে বিজয় দেরি করে আসার ফলে ভীড় বারে, পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যায়।
এ বিষয়ে তামিলনাড়ুর ডিজিপি ইনচার্জ জি ভেঙ্কট রামনের মতে, অনুষ্ঠানটি বিকাল ৩টা থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অভিনেতা-রাজনীতিবিদ পৌঁছান সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে, যার ফলে ভিড় আরো বেড়ে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

পাশাপাশি পুলিশের দাবি, আয়োজক সংস্থা মাত্র ১০ হাজার মানুষের ভিড়ের আভাস দিয়ে একটি মাঠ চেয়েছিল, কিন্তু প্রায় তিনগুণ বেশি লোক এসেছিল।

অন্যদিকে, করুরের ঘটনার পর যেকোনো হামলার আশঙ্কায় থালাপতি বিজয়ের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তার বাসস্থানের নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।