ফরিদপুরে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ফরিদপুরে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘোষণা করেছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। আদালত ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন। এ রায় নারীর ন্যায়বিচার ও শিশু সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
ফরিদপুরে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীমা পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় দোষী আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং পরবর্তীতে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালে আসামির সঙ্গে বাদীর (৩৯) বিয়ে হয়। তাদের দুটি মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। ২০২০ সালে দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। সন্তানরা কখনও বাবার কাছে আবার কখনও মায়ের কাছে থাকত। বড় মেয়ে (১৫) বাবার বাড়িতে থাকাকালীন সময়ে আসামি একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে প্রথমদিকে আত্মীয়স্বজনকে জানালেও কেউ বিশ্বাস করেনি। ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দুই বছর ধরে নির্যাতনের শিকার হন ভুক্তভোগী। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনা ঘটলে মেয়ে মাকে বিষয়টি জানায়। ডাক্তারি পরীক্ষায় সত্যতা প্রমাণিত হলে পরদিন, ১৫ ফেব্রুয়ারি, মেয়ের মা বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে পুলিশ একই বছরের ২৪ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য-প্রমাণের পর আদালত দোষী সাব্যস্ত করে বাবাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, ভুক্তভোগীর পক্ষে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এই রায়ে বাদী সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।