জুলাইয়ে সারাদেশে ৪৩৮ স্থানে হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ পেশ ট্রাইব্যুনালে
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণে চাঞ্চল্যকর তথ্য উপস্থাপন করেছেন মামলার মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে তিনি জবানবন্দি দেন। এতে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় দেশের ৪১ জেলার ৪৩৮ স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় এবং ৫০টিরও বেশি জেলায় মারণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়।
সাক্ষ্যে তদন্ত কর্মকর্তা দাবি করেন, আন্দোলন দমনে সংঘটিত এসব হত্যাকাণ্ড, গুম ও নির্যাতনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিল। তিনি আরও বলেন, এসব নৃশংসতা বন্ধে আসামিরা কোনো পদক্ষেপ নেননি, বরং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণও হয়নি।
মামলার সর্বশেষ তথা ৫৪তম সাক্ষী হিসেবে আলমগীর আদালতে বিভিন্ন প্রমাণাদি উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে ছিল যমুনা টেলিভিশনের প্রতিবেদন, যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের হত্যাযজ্ঞের দৃশ্য, বিবিসি, আল-জাজিরা ও আমার দেশের প্রচারিত প্রামাণ্যচিত্রসহ মোট ১৭টি ভিডিও ক্লিপ।
এছাড়া জব্দকৃত ৬৯টি অডিও ক্লিপ ও কল রেকর্ডও প্রদর্শিত হয়।
প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, এদিনের সাক্ষ্যগ্রহণ বিটিভি ও ট্রাইব্যুনালের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এছাড়া পুলিশের নৃশংসতার চিত্র দর্শকদের সামনে তুলে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই এ মামলায় শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশনের আনা পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে হত্যা, গুম, নির্যাতন ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত রয়েছে।
মামলার অভিযোগপত্র মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার, যাতে দালিলিক প্রমাণ, জব্দ তালিকা এবং শহীদদের বিস্তারিত বিবরণ অন্তর্ভুক্ত আছে।
এদিকে জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সাক্ষীর অসুস্থতার কারণে পিছিয়ে আগামী ৬ অক্টোবর তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।