সুমুদ ফ্লোটিলায় ইসরাইলি হামলায় প্রতিবাদ মালয়েশিয়ার

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ফিলিস্তিনের গাজামুখী ত্রাণবাহী আন্তর্জাতিক নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-তে ইসরাইলি হামলা ও স্বেচ্ছাসেবকসহ একাধিক জাহাজ আটকের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই কড়া প্রতিক্রিয়া জানান।
প্রধানমন্ত্রী ইব্রাহিম তার বার্তায় ইসরাইলের এই পদক্ষেপকে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেন। তিনি লেখেন, "গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ওপর ইসরাইলের বাধা দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই জাহাজগুলোতে নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিক এবং গাজার জন্য জীবনরক্ষাকারী মানবিক সহায়তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে।"
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, একটি মানবিক মিশনকে বাধা দিয়ে ইসরাইল কেবল ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের প্রতিই নয়, বরং "বিশ্বের বিবেকের প্রতিও চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে।" তিনি ফ্লোটিলাকে "সংহতি, সহানুভূতি এবং অবরুদ্ধ মানুষের জন্য আশার প্রতীক" হিসেবে অভিহিত করেন।
আনোয়ার ইব্রাহিম তার বার্তায় ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি মালয়েশিয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, "যতদিন ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার এবং আকাঙ্ক্ষা থেকে বঞ্চিত থাকবে, মালয়েশিয়া তাদের পাশে থাকবে। ফিলিস্তিনে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলা অবিচার এবং বঞ্চনার অবসানের দাবিতে আমরা কখনও পিছপা হব না।"
‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ হচ্ছে সমুদ্রপথে গাজার জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ। এই নৌবহরে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ৪৪টি দেশের প্রায় ৫০০ স্বেচ্ছাসেবকসহ ৪০টিরও বেশি বেসামরিক জাহাজ রয়েছে। এই স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিকও রয়েছেন।
নৌবহরের প্রথম দলটি ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে তিউনিসিয়া, ইতালির সিসিলি দ্বীপ এবং গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকেও আরও নৌযান এতে যোগ দেয়।
ইসরাইল শুরু থেকেই দাবি করে আসছে যে, এই ফ্লোটিলার ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তারা এ সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।