ওলামা দল নেতার বিরুদ্ধে হাতীবান্ধায় মাদ্রাসা দখল ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ওলামা দল নেতা আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে ইবতেদায়ি মাদ্রাসা দখল ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, তিনি প্রতিষ্ঠাতা দাবি করে আত্মীয়স্বজনকে শিক্ষক ও কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দিয়েছেন। শিক্ষা পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় একটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসা দখল ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য না হয়েও নিজেকে প্রতিষ্ঠাতা দাবি করে স্বজনদের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়েছেন এবং মাদ্রাসাটিকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৮ সালে উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানীয় আটজন দাতার জমি দান করে ‘পূর্ব ফকিরপাড়া ১ নম্বর স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর থেকে মাদ্রাসাটি স্থানীয়দের উদ্যোগে পরিচালিত হয়ে আসছিল। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আব্দুস সোবহান দলীয় প্রভাব খাটিয়ে পুরোনো কমিটিকে বাতিল করে নিজস্ব লোকজন দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করেন।
অভিযোগ রয়েছে, ব্যাকডেটে কাগজ তৈরি করে তিনি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম করেছেন। শিক্ষক রবিউল ইসলাম দাবি করেন, ২০১৬ সালে বৈধভাবে নিয়োগ পাওয়ার পর দায়িত্ব পালন করলেও সোবহান তাঁকে অবৈধভাবে বাদ দিয়ে স্বজনদের নিয়োগ দেন। জানা গেছে, সোবহান তাঁর ভাই শ্রমিক দল নেতা আবু বক্কর সিদ্দিককে সভাপতি করে মাদ্রাসার ছয়টি শিক্ষক পদের তিনটিতে মেয়ের জামাই ও পরিবারের সদস্যদের বসিয়েছেন। এর মধ্যে মেয়ে নাজিরা তামান্না ও পুত্রবধূ মৌসুমী খাতুন সহকারী শিক্ষক, মেয়ের জামাইয়ের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মিথিলা তাবাসসুম প্রধান শিক্ষক, আর মেয়ের জামাই আব্দুর রাজ্জাককে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এ ধরনের স্বজনপ্রীতি ও দখলদারিত্বে মাদ্রাসার শিক্ষার পরিবেশ ভেঙে পড়েছে। জমিদাতা আ. মজিদ অভিযোগ করেন, তাঁকে দাতা সদস্য তালিকা থেকে বাদ দিয়ে সোবহান নিজের পরিবারের লোকজনকে যুক্ত করেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুস সোবহান বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটি দেখাশোনা করছেন এবং কোনো অনিয়ম করেননি। তবে স্থানীয় প্রশাসনের তদন্তে যদি প্রমাণিত হয়, তিনি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে প্রস্তুত।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞা জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত ও শুনানির পর যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে মাদ্রাসার দায়িত্ব বৈধ পক্ষকে দেওয়া হবে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।