হামাসের প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করছে ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার সফলতা: মিসর
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
মিসর জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হামাসের প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করছে। পরিকল্পনায় গাজার রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা, বন্দি মুক্তি এবং পুনর্গঠন অন্তর্ভুক্ত। হামাস রাজি না হলে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে। গাজার শান্তি ও মানবিক পরিস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ।
মিসর জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় “অসংখ্য ফাঁকফোকর” রয়েছে। মিসরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আবদেলাত্তি শুক্রবার প্যারিসে ফরাসি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনে এক আলোচনায় বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে এটি বাস্তবায়ন সম্ভব, তবে হামাস রাজি না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠবে।
আবদেলাত্তি উল্লেখ করেন, গাজার ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর আরও বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন। তিনি বলেন, “আমরা কাতারের এবং তুরস্কের সহযোগীদের সঙ্গে সমন্বয় করছি, যেন হামাসকে এই পরিকল্পনায় ইতিবাচক সাড়া দিতে রাজি করা যায়।” তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, হামাস যদি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে, তবে উত্তেজনা আরও বাড়বে এবং পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠবে। মিসর যে কোনো পরিস্থিতিতেই গাজার জনগণের বাস্তুচ্যুতি মেনে নেবে না বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে মিসরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা মাদবৌলি বলেন, ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার মূলনীতিগুলো সবসময় মিসরের অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ নীতিগুলোর মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতি নয়, গাজা বা পশ্চিম তীর দখল নয়, যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা, বন্দিদের মুক্তি এবং গাজা পুনর্গঠন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউস গাজার জন্য বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করে। পরিকল্পনায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, পুনর্গঠন কর্মসূচি, অস্ত্রশূন্য অঞ্চল, অন্তর্বর্তী শাসনব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক তদারকির প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত। হামাসকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দিতে বলা হয়েছে, যা ইসরায়েলের জন্য বাধ্যতামূলক নয়।
পরিকল্পনায় ধাপে ধাপে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার, মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং প্রযুক্তিনির্ভর অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গাজা শাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে হামাসের জন্য কঠোর শর্ত থাকায় বাস্তবায়নে জটিলতা দেখা দিতে পারে।
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ৬৬ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার অধিকাংশ নারী ও শিশু।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।