বন্দী মুক্তি ও যুদ্ধবিরতিতে শান্তি আলোচনায় রাজি হামাস

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর চলমান সহিংসতা বন্ধে শান্তি উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। হামাস জানিয়েছে, তারা ইসরাইলি বন্দী মুক্তি এবং গাজায় চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে অবিলম্বে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। শুক্রবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বানকে তারা স্বাগত জানায়।
ট্রাম্পের প্রস্তাবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্দী মুক্তি, গাজা থেকে ধাপে ধাপে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার এবং হামাসের নিরস্ত্রীকরণের বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একইসঙ্গে পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, গাজার প্রশাসনিক দায়িত্ব কোনও রাজনৈতিক গোষ্ঠীর হাতে থাকবে না, বরং একটি টেকনোক্র্যাটিক সংস্থা ও যুদ্ধ-পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষ এটি পরিচালনা করবে। ট্রাম্প নিজে এই তত্ত্বাবধান করবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে হামাস তাদের প্রতিক্রিয়ায় এই অংশ নিয়ে সরাসরি কিছু বলেনি।
হামাসের মুখপাত্র তাহের আল-নুনু বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আহ্বান উৎসাহব্যঞ্জক। আমরা বন্দী বিনিময়, যুদ্ধের সমাপ্তি এবং সেনা প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা দিতে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।”
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রস্তাবের প্রথম ধাপকে সমর্থন করেছেন। তার কার্যালয় থেকে জানানো হয়, বন্দী মুক্তির প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে ইসরাইল প্রস্তুত এবং ট্রাম্পের সঙ্গে সমন্বয় করে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে তারা কাজ করবে।
এএফপি’র সাংবাদিক জানান, গাজা উপত্যকার আল-মাওয়াসি এলাকায় হামাসের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার পর শরণার্থী শিবিরে উল্লাস দেখা গেছে। গাজার বাসিন্দা মোহাম্মদ আবু হাতাব বলেন, “নতুন আলোচনার দরজা খোলায় আমরা আশাবাদী। যুদ্ধ পুরোপুরি শেষ হলে আমাদের আনন্দ পূর্ণ হবে।”
ট্রাম্প এ প্রস্তাবকে “একটি বিশেষ দিন” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, গাজা আলোচনায় সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে ন্যায্য আচরণ করা হবে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।