রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৬৩ জন নারী ও ৪৭ জন শিশু রয়েছেন। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১৪৩, যা মোট নিহতের ৩৪.২৯ শতাংশ। এছাড়া ১১২ জন পথচারী, ৫৬ জন যানচালক ও সহকারী এবং ৪৯ জন শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১৬১টি দুর্ঘটনা জাতীয় মহাসড়কে, ১৩৯টি আঞ্চলিক সড়কে, ৫৭টি গ্রামীণ সড়কে এবং ৮৯টি শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ৯২টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৭১টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১১৯টি পথচারী চাপা/ধাক্কা, ৫৮টি যানবাহনের পেছনে আঘাত এবং ৬টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

ভৌগোলিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ১২৮টি দুর্ঘটনায় ১২৪ জন নিহত হয়েছেন। বরিশাল বিভাগে সর্বনিম্ন ১৬টি দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় ৫২টি দুর্ঘটনায় ৪৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। রাজধানী ঢাকায় ৪২টি দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন উল্লেখ করেছে, দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হচ্ছে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ও সড়ক, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও স্বাস্থ্যগত সমস্যা। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি ও চালকদের মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। সরকারি উদ্যোগে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জীবনমুখী সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো অত্যন্ত জরুরি।