রাশেদ খান অভিযোগ করেন, ভারত চায় আওয়ামী লীগকে নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবাইকে প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে হবে, অপ্রকাশ্য রাজনীতি বাংলাদেশকে বিরাজনীতিকরণের দিকে ঠেলে দেবে। তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচনের প্রশ্নে দেশে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতিফলন নয়।

জুলাই সনদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচন হবে না এমন শর্ত আরোপ করা যুক্তিযুক্ত নয়। তার মতে, সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন বর্তমান সরকারের পক্ষে সম্ভব নয় এবং এই দায়িত্ব আগামী সরকারকে নিতে হবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সংস্কার এবং বিচারের নামে সরকার জনগণকে ট্যাবলেট খাওয়াচ্ছে।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, সরকারের এই সংস্কারের উদ্যোগ আসলে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া। তিনি দাবি করেন, সরকারের ব্যর্থতার দায় জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, অথচ এ দায় সরকারের নিজের। রাশেদ খান বলেন, কিছু উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দিয়ে যদি ভুল হয়ে থাকে, তবে তার দায়ভার সরকার এবং সে সময়কার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটিকেই নিতে হবে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সকল দলের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে বিরাজনীতিকরণের প্রবণতা বাড়বে। এজন্য তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে উন্মুক্তভাবে রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।