যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক বাহিনীতে লম্বা চুল ও দাড়ি রাখায় নিষেধাজ্ঞা

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে দাড়ি নিষিদ্ধ করার নতুন নির্দেশনায় বিপাকে পড়েছেন মুসলিম, শিখ, ইহুদি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী সদস্যরা। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে নেওয়া এ সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ভার্জিনিয়ার কোয়ান্টিকোতে এক বক্তব্যে বলেন, “আর কোনো দাড়ি নয়, লম্বা চুল নয়, অযথা ব্যক্তিগত প্রকাশ নয়। দাড়ি চাইলে স্পেশাল ফোর্সে যোগ দেন, নাহলে শেভ করুন।” প্রায় ৮০০ জেনারেল, অ্যাডমিরাল ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সামনে তিনি দাড়িওয়ালা সেনাদের ‘বিয়ার্ডো’ এবং স্থূল কর্মকর্তাদের ‘ফ্যাট জেনারেলস’ বলে বিদ্রূপ করেন।
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পেন্টাগন ‘গ্রুমিং স্ট্যান্ডার্ডস ফর ফেসিয়াল হেয়ার’ শীর্ষক একটি মেমো প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ২০১০ সালের আগে প্রচলিত নিয়মে ফিরে যাওয়া হবে এবং আর কোনো ‘ফেসিয়াল হেয়ার ওয়েভার’ অনুমোদিত হবে না।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সেনাদের অবশ্যই ক্লিন শেভ থাকতে হবে। গোঁফ রাখা যাবে, তবে তা সুশৃঙ্খলভাবে ছাঁটা থাকতে হবে। দাড়ি, গোঁফ ছাড়া দাড়ি, গোঁটি বা অন্যান্য মুখের লোম রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে বিশেষ অনুমতি ছাড়া।
সামরিক বাহিনীর সব শাখাকে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন নিয়ম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা জমা দিতে এবং ৯০ দিনের মধ্যে তা কার্যকর করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শিখ কোয়ালিশন জানিয়েছে, এ নিয়মের ফলে সদস্যদের ধর্মীয় অনুশীলন ও সামরিক দায়িত্বের মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে বাধ্য করা হবে। তারা এটিকে ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
অন্যদিকে, মিলিটারি রিলিজিয়াস ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মিকি ওয়েইনস্টাইন বলেন, বিষয়টি কেবল দাড়ি বা চুলের সীমায় নেই; বরং এটি অ-শ্বেতাঙ্গ, অ-খ্রিস্টান ও সংখ্যালঘু সদস্যদের বিরুদ্ধে একধরনের সর্বজনীন আক্রমণ।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ সিদ্ধান্ত মার্কিন সামরিক বাহিনীর বহুত্ববাদী চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে এবং সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।