সরকারি গাছ কাটার সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
বরিশালের গৌরনদীতে সরকারি গাছ কাটার সংবাদ প্রকাশের পর সাংবাদিক মিজান সরদারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিস্কৃত নেতা ও সহযোগীরা হামলার চেষ্টা চালায়। এই ঘটনায় মামলা দায়ের এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিরাপত্তা ও সাংবাদিক স্বাধীনতা নিয়ে স্থানীয় মহলে উদ্বেগ বৃদ্ধি।
বরিশালের গৌরনদীতে সরকারি জায়গার গাছ কাটার বিষয়টি সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক মিজান সরদারের ওপর হামলা ও হত্যার হুমকির ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে গৌরনদী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তিনি ৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৭ জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ভুক্তভোগী মিজান সরদার ‘বাংলাদেশের খবর’ পত্রিকার গৌরনদী প্রতিনিধি এবং স্থানীয় প্রেসক্লাবের সদস্য। তিনি অভিযোগ করেন, সরকারি জায়গার গাছ কাটার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের গৌরনদী শাখার যুগ্ম আহবায়ক সফিকুল ইসলাম রোকনকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর তার পত্রিকায় ‘সরকারী গাছ কেটে তদন্তের মুখে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ঘটনার সত্যতা যাচাই করার পর রোকনকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। এরপর থেকেই রোকন ও তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক মিজানের ওপর ক্ষেপণাস্ত্রপূর্ণ আচরণ করতে থাকে।
মিজান সরদারের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে টরকী চৌরাস্তায় তিনি বন্ধু ও ব্যবসায়ী টিটু কাউয়মের সঙ্গে চা পান করছিলেন। তখন বহিস্কৃত স্বেচ্ছাসেবক নেতা রোকন ও তার ৮ থেকে ১০ জন সহযোগী এসে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং ‘তুই কীভাবে এলাকায় থাকিস, কীভাবে নিউজ লিখিস তা দেখে নেবো’ বলে হুমকি দেন। হামলার সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে রক্ষা করেন। হামলাকারীরা পরে তার মানিব্যাগ, ১০ হাজার ৫শ’ টাকা এবং ব্যাংকের ভিসা কার্ড নিয়ে যায়। পরে সহকর্মীরা তাকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করেন।
অভিযুক্ত সফিকুল ইসলাম রোকন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হামলা বা হুমকির কোনো ঘটনা ঘটেনি। গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম জানান, মামলার পর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।