বিবিসির খবর অনুযায়ী, শনিবার (৪ অক্টোবর) স্থানীয় নির্বাচনের দিনই রাজধানীতে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
পার্লামেন্টে নির্বাচনি কারচুপি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদানের আলোচনায় স্থবিরতার অভিযোগে এমন বিক্ষোভ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা বাহিনী জলকামান ও পেপার স্প্রে ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় অনেক বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত বছরের পার্লামেন্ট নির্বাচনে শাসক দল জর্জিয়ান ড্রিম জয় দাবি করার পর থেকেই দেশটি রাজনৈতিক অচলাবস্থায় রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নপন্থি বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে শাসকদল জয় পেয়েছে। এরপর থেকে সরকার ইইউ-তে যোগদানের আলোচনা স্থগিত রেখেছে বলে বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এদিকে সরকারবিরোধী অভিযানের প্রতিবাদে অধিকাংশ বিরোধী দল শনিবারের স্থানীয় নির্বাচন বর্জন করে। এসময় তিবলিসির রাস্তাগুলোতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জর্জিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকা হাতে মিছিল করেন।
বিক্ষোভের অন্যতম সংগঠক, অপেরা গায়ক পাতা বুড়চুলাদজে এক ঘোষণায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রতি জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখিয়ে অবিলম্বে জর্জিয়ান ড্রিম দলের ছয়জন শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতারের আহ্বান জানান। তিনি আগেও শাসক দলের নেতাদের গ্রেফতারের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

পরে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সামনে গিয়ে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ পেপার স্প্রে নিক্ষেপ করে।

এ ঘটনায় জর্জিয়া সরকার শত শত বিক্ষোভকারীকে ৫ হাজার জর্জিয়ান লারি (প্রায় ১ হাজার ৮৩৫ ডলার) জরিমানা করেছে।
সরকারের ভাষ্যমতে, ‘রাস্তা অবরোধের মতো বেআইনি কর্মকাণ্ডে’ অংশ নেওয়ার অভিযোগে এই জরিমানা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জর্জিয়া সরকার গত কয়েক মাস ধরে সরকারবিরোধী কর্মী, স্বাধীন গণমাধ্যম ও পশ্চিমাপন্থি রাজনৈতিক নেতাদের ওপর দমননীতি জোরদার করেছে। এই জেরে বর্তমানে অধিকাংশ বিরোধী নেতা কারাগারে রয়েছেন।