রোগ প্রতিরোধে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রকাশ, মাঠ পর্যায়ে আক্রান্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ ও অসুস্থ পশু জবাই প্রতিরোধে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। ‘ওয়ান হেলথ’ কর্মসূচির আওতায় স্থানীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। কর্মকর্তারা নিয়মিত উঠান বৈঠক ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে জনগণকে পরামর্শ দিচ্ছেন। অসুস্থ পশু জবাই না করা, মৃত পশু খোলা স্থানে বা পানিতে না ফেলা এবং দ্রুত নিকটস্থ ভেটেরিনারি হাসপাতালে যোগাযোগের জন্য।

রংপুর ও গাইবান্ধাকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানে বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি চলছে। প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (এলআরআই) রংপুর বিভাগে প্রায় ৩০ লক্ষ টিকা সরবরাহ করছে, যার মধ্যে রংপুর ও গাইবান্ধায় ২০ লক্ষ টিকা পাঠানো হবে। রংপুর জেলার নয়টি উপজেলায় এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬৭ হাজার গরুতে টিকা প্রয়োগ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৩৬টি কসাইখানায় মেডিকেল টিম স্বাস্থ্য পরীক্ষা পরিচালনা করছে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২৬ হাজার ৪০০ গরুতে টিকা দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত এলাকায় গরু পুঁতে ফেলা, মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও উঠান বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা আদায় ও ৫টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

রক্তের নমুনা পরীক্ষায় ১১টি নেগেটিভ ও মাংসের ১০টি নমুনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। অ্যানথ্রাক্সের উৎস ও পরিস্থিতি মূল্যায়নে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে, যা শিগগির প্রতিবেদন দাখিল করবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, প্রশাসন ও জনগণের সমন্বিত উদ্যোগে রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।