বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে তিস্তার পানি, বন্যার শঙ্কায় নির্ঘুম মানুষ

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। লালমনিরহাট, নীলফামারী ও রংপুরের নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কায় মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সতর্কতা জারি করেছে এবং ব্যারাজের সব জলকপাট খুলে দিয়েছে।
তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় লালমনিরহাট, নীলফামারী ও রংপুরের তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা। রোববার (৫ অক্টোবর) রাতে ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২.৫০ মিটার, যা বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আশঙ্কা, রাতে এই পানি বিপৎসীমার আরও ওপরে উঠতে পারে। এরই মধ্যে ডালিয়া এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। নদী তীরবর্তী মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।
পানি বৃদ্ধির ফলে রংপুরের গংগাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলাসহ নীলফামারী ও লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চলের অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। হঠাৎ পানি বৃদ্ধিতে অনেক ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। তিস্তা পাড়ের মানুষ রাতজেগে কাটাচ্ছে বন্যা আতঙ্কে। কেউ কেউ গবাদিপশু ও শিশুদের নিয়ে বিদ্যালয় ও আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
গংগাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদু হাসান মৃধা জানান, নদী তীরবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করে মাইকিং করা হয়েছে এবং মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতে বলা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কালীগঞ্জ এলাকায় তিস্তার ডান তীরের বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে, যা মেরামতের কাজ চলছে।
সন্ধ্যা থেকে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা তীরবর্তী মানুষের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।