পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন একই দেশের তিন পদার্থবিদ

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিশিষ্ট বিজ্ঞানীঃ জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ ডেভোরেট এবং জন এম মার্টিনিস। কোয়ান্টাম মেকানিক্সে তাঁদের অগ্রণী গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) তাঁদের এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত করে। কমিটি জানায়, কোয়ান্টাম সুপারপজিশন ও তথ্য প্রক্রিয়াকরণে তাঁদের গবেষণা আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
নোবেল কমিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই তিন গবেষকের কাজ কোয়ান্টাম প্রযুক্তিকে বাস্তব প্রয়োগে রূপ দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, যা ভবিষ্যতে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটিং ও নিরাপদ তথ্য বিনিময়ে বিপ্লব ঘটাবে। তাঁদের উদ্ভাবন ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ বর্তমান কোয়ান্টাম কম্পিউটার উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
গত বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিজ্ঞানী জন জে হোপফিল্ড ও জিওফ্রি ই হিন্টন। তাঁরা কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্ক ও মেশিন লার্নিংয়ের মৌলিক আবিষ্কারের জন্য এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। প্রতি বছর রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীদের গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল প্রদান করে আসছে।
নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বদের মধ্যে রয়েছেন আর্থুর আসকিন, যিনি ২০১৮ সালে ৯৬ বছর বয়সে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল লাভ করে সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ পুরস্কারজয়ীর রেকর্ড গড়েন। অপরদিকে, ১৯১৫ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে নোবেল পাওয়া লরেন্স ব্রেগ এখনও সর্বকনিষ্ঠ পুরস্কারজয়ী হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া জন বার্ডিন একমাত্র বিজ্ঞানী যিনি দুইবার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হয়। সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের উইল অনুযায়ী, পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, সাহিত্য ও শান্তি, এই পাঁচ খাতে অসামান্য অবদানের জন্য প্রতি বছর এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিকেও এই তালিকায় যুক্ত করা হয়। তারপর থেকেই ছয়টি বিষয়ে অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।