গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ২ বছরে প্রায় ৬৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের দুই বছর পূর্ণ হলো মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর)। এই দুই বছরে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় গাজা উপত্যকা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, যাদের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ শিশু। আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৬৯ হাজারের বেশি মানুষ। ক্রমবর্ধমান যুদ্ধ ও অবরোধের কারণে বর্তমানে গাজার প্রায় সমগ্র জনগণ তীব্র ক্ষুধা, ত্রাণ সংকট ও মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
জাতিসংঘ স্যাটেলাইট সেন্টারের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন বলছে, গাজায় প্রায় ১ লাখ ৯৩ হাজার ভবন সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২১৩টি হাসপাতাল ও ১ হাজার ২৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, বর্তমানে মাত্র ১৪টি হাসপাতাল আংশিকভাবে কার্যকর রয়েছে এবং দক্ষিণাঞ্চলের চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোতে রোগীর চাপ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর গাজার ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও জোরপূর্বক স্থানচ্যুতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, এ ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনে “জাতিগত নিধন” হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক সানাম ভাকিল মন্তব্য করেছেন, গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যার চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ করেছে। তাঁর মতে, বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর এমন পরিকল্পিত নির্যাতন তাদের অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলেছে। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনকে সমর্থন করায় ইরান, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন ও কাতারেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় নতুন করে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও ইসরায়েলি হামলা থামেনি। গত এক সপ্তাহে অন্তত ১০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, বর্তমানে গাজার মাত্র ১৮ শতাংশ এলাকা নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত, বাকিটা সামরিক নিয়ন্ত্রণ বা স্থানচ্যুতি আদেশের আওতায় রয়েছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।