জামালপুরে চাঁদা না দেওয়ায় স্কুলে তালা দিলেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
জামালপুরে চাঁদা না দেওয়ার জেরে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মকবুল হোসেন একটি স্কুলে তালা দিয়েছেন। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বাধা সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয়রা প্রতিবাদ করেছেন। জেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবক দল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। ঘটনা শিক্ষাব্যবস্থার জন্য উদ্বেগজনক।
জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নে চাঁদা না দেওয়ার জেরে একটি বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মকবুল হোসেন (ভুট্টো) সোমবার (৬ অক্টোবর) সাইফুল ইসলাম মেধা সিঁড়ি মডেল স্কুলের মূল ফটকে তালা লাগান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি কয়েক দিন ধরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে চাঁদা দাবি করছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ অর্থ প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এই চরম পদক্ষেপ নেন।
ঘটনার পর মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) শিক্ষার্থীরা ক্লাসে প্রবেশ করতে না পারায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা চরম অসুবিধার সম্মুখীন হন। একই দিন তারা বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষক ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ে তালা দেওয়া শিক্ষাবিরোধী এবং নিন্দনীয়। তারা অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর এমন অমানবিক আচরণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ চাই।” অভিভাবকরা উল্লেখ করেন, এ ধরনের ঘটনা শিক্ষার্থীদের মনে ভয় ও হতাশা সৃষ্টি করছে এবং শিক্ষার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
অভিযোগের বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মকবুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। অন্যদিকে, জামালপুর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নুরুল মোমেন আকন্দ (কাউসার) বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রমাণ মিললে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিন্নাত শহিদ পিংকি বলেন, এখনো তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ নেই। অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনায় শিক্ষাব্যবস্থার স্বাভাবিক চলাচল ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কাম্য বলে মনে করা হচ্ছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।