অনুপাতভিত্তিক পে-স্কেলের দাবী সরকারি কর্মচারীদের

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বেতন বৈষম্য দূর করে একটি ন্যায্য ও মানবিক পে স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে একটি নতুন ঘোষণা দিতে যাচ্ছে ‘১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরাম’। সংগঠনটি তাদের দাবিগুলো তুলে ধরতে আগামী শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। ইতোমধ্যে তারা প্রেস ক্লাবের হলরুম বুক করেছে বলে জানা গেছে।
সংগঠনের মূল দাবি হলো- বেতন বৈষম্য দূর করে নতুন পে স্কেলে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত ১:৪ অথবা ১:৬ নির্ধারণ করা। ফোরামের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, এই অনুপাতে সর্বোচ্চ বেতন হবে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা এবং সর্বনিম্ন বেতন হবে ৩২ হাজার টাকা।
১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, তাদের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ন্যায্যতার ভিত্তিতে বৈষম্যমুক্ত পে স্কেল ঘোষণার দাবি জানানো হবে।
এই সংবাদ সম্মেলনে ফোরাম আরো যে দাবি জানাবে--
-বর্তমান বাজারমূল্য বিবেচনায় সব ধরনের ভাতা পুনর্নির্ধারণ করা।
-টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল করা।
-সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান গ্রেড ভেঙে ১২-১৫টি গ্রেডে রূপান্তর করা।
-এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন করা।
সংগঠনটি তাদের এই দাবিগুলো মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেবে বলে জানিয়েছে।
বর্তমান পে স্কেল নিয়ে ফোরামের নেতারা অভিযোগ করে বলেন, বেতন বৈষম্যের কারণেই নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নে এত দীর্ঘ সময় লাগছে। বেতন কাঠামোতে বৈষম্য না থাকলে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা আগেই বেতন বৃদ্ধির দাবি জানাতেন এবং এর ফলে সাধারণ কর্মচারীরা এর মধ্যেই অন্তত দুটি পে স্কেল পেয়ে যেতেন।
তারা আরো বলেন, বর্তমান কাঠামোয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জীবনযাত্রায় কোনো অসুবিধা না হওয়ায় তারা বেতন স্কেল নিয়ে ভাবেন না। কিন্তু ১১-২০ গ্রেডের ছোট কর্মচারীদের জন্য বর্তমান বাজারদরে সংসার চালানো এখন রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।