মাত্র কয়েক ধাপে ইতালিয়ান টি-রামিসু মিষ্টির স্বর্গ আপনার রান্নাঘরে!

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
এক কাপ গাঢ় কফি, নরম মাসকারপোন চিজ, চিনি, ডিম আর এক চিমটি কোকো এই কয়েকটি সাধারণ উপকরণ মিলে তৈরি হয় এমন এক মিষ্টান্ন, যা আজ বিশ্বের প্রতিটি ক্যাফের আইকন: টিরামিসু (Tiramisu)। এটি শুধু একটি ডেজার্ট নয়; এটি ইতালির ঐতিহ্য, ইউরোপীয় রুচির প্রতীক এবং বিশ্বজুড়ে "কফি-সংস্কৃতির" এক মিষ্ট উদযাপন।
টিরামিসুর জন্ম ইতালির ত্রেভিসো (Treviso) শহরে, ১৯৬০-এর দশকের শেষদিকে। স্থানীয় এক রেস্তোরাঁয় প্রথম পরিবেশিত হয় এই বিশেষ ডেজার্ট, যার নাম রাখা হয় "Tirami su", অর্থাৎ ইতালীয় ভাষায় "আমাকে জাগাও" বা "আমাকে তুলো।"
এই নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এর স্বভাব কফি ও কোকোর সজীবতা, চিনি ও চিজের কোমলতা একসঙ্গে মিলে মন-মেজাজ জাগিয়ে তোলে।
সেই সময় ইউরোপে এসপ্রেসো কফির জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছিল। কফির সঙ্গে খাওয়ার মতো হালকা অথচ বিলাসবহুল কিছু তৈরি করার ইচ্ছে থেকেই টিরামিসুর ধারণা। কিছুদিনের মধ্যেই এটি ইতালির সীমা পেরিয়ে ইউরোপ, আমেরিকা, পরে এশিয়ার ক্যাফে ও রেস্তোরাঁতেও জায়গা করে নেয়।
টিরামিসুর আকর্ষণ শুধু তার স্বাদে নয়, বরং এর ভারসাম্যেও। কফি ও কোকোর ক্যাফেইন স্নায়ু উদ্দীপিত করে, ফলে শরীরে মৃদু শক্তি আসে ও মন চনমনে হয়।
মাসকারপোন চিজ ও ডিমের কুসুমের চর্বি মুখে এক ক্রিমি, গলে যাওয়া অনুভূতি দেয়, যা মানব মস্তিষ্কে "সন্তুষ্টির সংকেত" পাঠায়। চিনি ও কোকোর তিক্ততা একে অপরকে ভারসাম্যপূর্ণ করে, যা মানুষ স্বাভাবিকভাবে উপভোগ করে। এই কারণেই টিরামিসু খেলে যে "হালকা সুখানুভূতি" হয়, সেটি নিছক কল্পনা নয়, এটি একেবারে রসায়নগত প্রতিক্রিয়া।
১৯৮০-এর দশকে যখন ইতালীয় রেস্তোরাঁ বিশ্বজুড়ে ছড়াতে শুরু করে, তখন প্রতিটি শেফ নিজের মতো করে টিরামিসুকে উপস্থাপন করেন। কারো সংস্করণে ছিল সামান্য অ্যালকোহল (সাধারণত মার্সালা ওয়াইন বা রাম), কেউ আবার শিশুদের জন্য তৈরি করলেন অ্যালকোহল-মুক্ত সংস্করণ।
এখন টিরামিসু পাওয়া যায় নানা রূপে চকলেট, স্ট্রবেরি, ম্যাচা, এমনকি ভেগান সংস্করণেও।
কিন্তু মূল দর্শন অপরিবর্তিত এক কাপ কফির সঙ্গে মিষ্টি, ক্রিমি, প্রশান্তিদায়ক এক কামড় সুখ।
রেসিপি: ঘরেই বানান আসল ইতালীয় টিরামিসু
উপকরণ (৬ জনের জন্য):
১. লেডিফিঙ্গার বিস্কুট (Ladyfinger biscuits): প্রায় ২০–২৫টি
২. মাসকারপোন চিজ: ২৫০ গ্রাম
৩. ডিম: ৩টি (কুসুম ও সাদা অংশ আলাদা)
৪. চিনি: ৬ টেবিল চামচ
৫. ঠান্ডা এসপ্রেসো বা গাঢ় কফি: ১ কাপ
৬. কোকো পাউডার: ২ টেবিল চামচ (ছিটিয়ে দিতে
টিরামিসুর জন্ম ইতালির ত্রেভিসো (Treviso) শহরে, ১৯৬০-এর দশকের শেষদিকে। স্থানীয় এক রেস্তোরাঁয় প্রথম পরিবেশিত হয় এই বিশেষ ডেজার্ট, যার নাম রাখা হয় "Tirami su", অর্থাৎ ইতালীয় ভাষায় "আমাকে জাগাও" বা "আমাকে তুলো।"
এই নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এর স্বভাব কফি ও কোকোর সজীবতা, চিনি ও চিজের কোমলতা একসঙ্গে মিলে মন-মেজাজ জাগিয়ে তোলে।
সেই সময় ইউরোপে এসপ্রেসো কফির জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছিল। কফির সঙ্গে খাওয়ার মতো হালকা অথচ বিলাসবহুল কিছু তৈরি করার ইচ্ছে থেকেই টিরামিসুর ধারণা। কিছুদিনের মধ্যেই এটি ইতালির সীমা পেরিয়ে ইউরোপ, আমেরিকা, পরে এশিয়ার ক্যাফে ও রেস্তোরাঁতেও জায়গা করে নেয়।
টিরামিসুর আকর্ষণ শুধু তার স্বাদে নয়, বরং এর ভারসাম্যেও। কফি ও কোকোর ক্যাফেইন স্নায়ু উদ্দীপিত করে, ফলে শরীরে মৃদু শক্তি আসে ও মন চনমনে হয়।
মাসকারপোন চিজ ও ডিমের কুসুমের চর্বি মুখে এক ক্রিমি, গলে যাওয়া অনুভূতি দেয়, যা মানব মস্তিষ্কে "সন্তুষ্টির সংকেত" পাঠায়। চিনি ও কোকোর তিক্ততা একে অপরকে ভারসাম্যপূর্ণ করে, যা মানুষ স্বাভাবিকভাবে উপভোগ করে। এই কারণেই টিরামিসু খেলে যে "হালকা সুখানুভূতি" হয়, সেটি নিছক কল্পনা নয়, এটি একেবারে রসায়নগত প্রতিক্রিয়া।
১৯৮০-এর দশকে যখন ইতালীয় রেস্তোরাঁ বিশ্বজুড়ে ছড়াতে শুরু করে, তখন প্রতিটি শেফ নিজের মতো করে টিরামিসুকে উপস্থাপন করেন। কারো সংস্করণে ছিল সামান্য অ্যালকোহল (সাধারণত মার্সালা ওয়াইন বা রাম), কেউ আবার শিশুদের জন্য তৈরি করলেন অ্যালকোহল-মুক্ত সংস্করণ।
এখন টিরামিসু পাওয়া যায় নানা রূপে চকলেট, স্ট্রবেরি, ম্যাচা, এমনকি ভেগান সংস্করণেও।
কিন্তু মূল দর্শন অপরিবর্তিত এক কাপ কফির সঙ্গে মিষ্টি, ক্রিমি, প্রশান্তিদায়ক এক কামড় সুখ।
রেসিপি: ঘরেই বানান আসল ইতালীয় টিরামিসু
উপকরণ (৬ জনের জন্য):
১. লেডিফিঙ্গার বিস্কুট (Ladyfinger biscuits): প্রায় ২০–২৫টি
২. মাসকারপোন চিজ: ২৫০ গ্রাম
৩. ডিম: ৩টি (কুসুম ও সাদা অংশ আলাদা)
৪. চিনি: ৬ টেবিল চামচ
৫. ঠান্ডা এসপ্রেসো বা গাঢ় কফি: ১ কাপ
৬. কোকো পাউডার: ২ টেবিল চামচ (ছিটিয়ে দিতে)
৭. ভ্যানিলা এসেন্স: ১ চা চামচ
৮. ঐচ্ছিক: মার্সালা ওয়াইন বা কফি লিকার ১ টেবিল চামচ
প্রস্তুত প্রণালি:
⇨ ডিমের কুসুম ও চিনি একসঙ্গে বিট করুন যতক্ষণ না মিশ্রণ হালকা ও ফোমি হয়।
⇨ তাতে যোগ করুন মাসকারপোন চিজ ও ভ্যানিলা এসেন্স মসৃণ ক্রিম তৈরি না হওয়া পর্যন্ত নেড়ে নিন।
⇨ আলাদা পাত্রে ডিমের সাদা অংশ ফেটিয়ে নিন (soft peak পর্যন্ত)।
⇨ এখন সেই ফেনাযুক্ত সাদা অংশটি ক্রিমে আলতোভাবে মিশিয়ে নিন এটি ডেজার্টকে হালকা ও ফ্লাফি করবে।
⇨ লেডিফিঙ্গার বিস্কুটগুলো ঠান্ডা কফিতে দ্রুত ডুবিয়ে বের করে সারি করে পাত্রে সাজান।
⇨ তার ওপর অর্ধেক ক্রিম মিশ্রণ ঢেলে সমান করে দিন।
⇨ আবার এক স্তর বিস্কুট সাজিয়ে বাকি ক্রিম দিন।
⇨ শেষে কোকো পাউডার ছিটিয়ে দিন, এবং অন্তত ৪–৬ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন (রাতভর রাখলে সবচেয়ে ভালো)। এতে তৈরি হবে মোলায়েম, স্তরযুক্ত এক অনন্য মিষ্টান্ন, যা কফির গন্ধে মন ভরিয়ে দেবে।
একটি সাধারণ মিষ্টান্ন কখনো কখনো হয়ে ওঠে ইতিহাসের প্রতিচ্ছবি। টিরামিসু সেই উদাহরণ, যেখানে ইতালীয় ঐতিহ্য, বৈজ্ঞানিক রসায়ন, কফির কাহিনি ও মানুষের আবেগ মিলেমিশে তৈরি করেছে এক বিশ্বজনীন স্বাদ। আজ টিরামিসু খাওয়া মানে শুধু কফির সুবাসে ভরা এক ডেজার্ট উপভোগ নয়—এটি এক ইতিহাসের স্বাদ নেওয়া।
৭. ভ্যানিলা এসেন্স: ১ চা চামচ
৮. ঐচ্ছিক: মার্সালা ওয়াইন বা কফি লিকার ১ টেবিল চামচ
প্রস্তুত প্রণালি:
⇨ ডিমের কুসুম ও চিনি একসঙ্গে বিট করুন যতক্ষণ না মিশ্রণ হালকা ও ফোমি হয়।
⇨ তাতে যোগ করুন মাসকারপোন চিজ ও ভ্যানিলা এসেন্স মসৃণ ক্রিম তৈরি না হওয়া পর্যন্ত নেড়ে নিন।
⇨ আলাদা পাত্রে ডিমের সাদা অংশ ফেটিয়ে নিন (soft peak পর্যন্ত)।
⇨ এখন সেই ফেনাযুক্ত সাদা অংশটি ক্রিমে আলতোভাবে মিশিয়ে নিন এটি ডেজার্টকে হালকা ও ফ্লাফি করবে।
⇨ লেডিফিঙ্গার বিস্কুটগুলো ঠান্ডা কফিতে দ্রুত ডুবিয়ে বের করে সারি করে পাত্রে সাজান।
⇨ তার ওপর অর্ধেক ক্রিম মিশ্রণ ঢেলে সমান করে দিন।
⇨ আবার এক স্তর বিস্কুট সাজিয়ে বাকি ক্রিম দিন।
⇨ শেষে কোকো পাউডার ছিটিয়ে দিন, এবং অন্তত ৪–৬ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন (রাতভর রাখলে সবচেয়ে ভালো)। এতে তৈরি হবে মোলায়েম, স্তরযুক্ত এক অনন্য মিষ্টান্ন, যা কফির গন্ধে মন ভরিয়ে দেবে।
একটি সাধারণ মিষ্টান্ন কখনো কখনো হয়ে ওঠে ইতিহাসের প্রতিচ্ছবি। টিরামিসু সেই উদাহরণ, যেখানে ইতালীয় ঐতিহ্য, বৈজ্ঞানিক রসায়ন, কফির কাহিনি ও মানুষের আবেগ মিলেমিশে তৈরি করেছে এক বিশ্বজনীন স্বাদ। আজ টিরামিসু খাওয়া মানে শুধু কফির সুবাসে ভরা এক ডেজার্ট উপভোগ নয়—এটি এক ইতিহাসের স্বাদ নেওয়া।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।