আফগান-পাক সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, কাতার-ইরান-সৌদির সংযম আহ্বান

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে তালেবান ও পাকিস্তানি বাহিনীর মধ্যে তীব্র গোলাগুলি সংঘটিত হয়েছে। কাবুলে বিমান হামলার জেরে উত্তেজনা বাড়ছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় কাতার, ইরান ও সৌদি আরব উভয় পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে। খবরটি আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্তে তালেবান বাহিনী ও পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে তীব্র গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে আফগান সীমান্তরক্ষীরা ভারী অস্ত্র নিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের ওপর আকস্মিক হামলা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পাল্টা জবাবে পাকিস্তানি সেনারাও হামলা চালায়, ফলে সীমান্ত এলাকা জুড়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর আগে গত শুক্রবার রাতে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী আফগান রাজধানী কাবুলে বিমান হামলা চালায়। হামলার লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি) প্রধান নূর ওয়ালী মেসুদ। এই হামলার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। আফগান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পাকিস্তানি হামলার প্রতিশোধেই তাদের সীমান্তরক্ষীরা পাল্টা অভিযান পরিচালনা করছে।
আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, পাকিস্তানের বিমান হামলাকে তারা ‘আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্বের চরম লঙ্ঘন’ এবং ‘নজিরবিহীন সহিংস ও নিন্দনীয় ঘটনা’ হিসেবে অভিহিত করছে। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বিপুল সংখ্যক আফগান সেনা যানবাহন পাকিস্তান সীমান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
ঘটনার পর কাতার, ইরান ও সৌদি আরবসহ প্রতিবেশী দেশগুলো উভয় পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত করা জরুরি।
অন্যদিকে, তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ পাকিস্তানের দাবিকে অস্বীকার করে বলেছেন, টিটিপির প্রধান নূর ওয়ালী মেসুদ কাবুলে উপস্থিত ছিলেন না এবং ওই হামলার কোনো ভিত্তি নেই। সীমান্তে এ সংঘর্ষের ফলে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে নতুন উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।