পঞ্চগড়ে এনসিপির প্রোগ্রামে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ক্ষুব্ধ সারজিসের কড়া হুঁশিয়ারি

পঞ্চগড়ে এনসিপির প্রোগ্রামে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ক্ষুব্ধ সারজিসের কড়া হুঁশিয়ারি
ছবির ক্যাপশান, ওদের কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব: সারজিস
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

পঞ্চগড়ে অনুষ্ঠিত এনসিপির প্রোগ্রামে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ক্ষুব্ধ হয়ে তীব্র মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও অপরাধের বিরুদ্ধে তার নেতৃত্বে লংমার্চ ও কঠোর বার্তা স্থানীয় পর্যায়ে সমালোচক ও সমর্থকদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত লংমার্চে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ক্ষুব্ধ হয়ে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে লংমার্চ শেষ হওয়ার পর রাতে সাড়ে ৯টার দিকে বক্তব্য দেওয়ার সময় বিদ্যুৎ না থাকায় তিনি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, ‘এই রাজনৈতিক দেউলিয়াদের দেখে নেবো, তাদের কলিজা কত বড়। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখবো।’

সারজিস আলম বলেন, পঞ্চগড়ে এনসিপির পূর্ববর্তী প্রোগ্রাম চলাকালেও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার ঘটনা ঘটেছে। তিনি নেসকোর মালিককে লক্ষ্য করে বলেন, ‘প্রোগ্রাম চলাকালে এই সমস্যা কেন হচ্ছে, তার জবাব দিতে হবে। এক দিন হইত, দুই দিন হইত কিছু বলতাম না। কিন্তু তিন দিনের মধ্যে তিনবারই এ ঘটনা ঘটেছে।’

এছাড়া তিনি চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে তীব্র অবস্থান নেন। তিনি জানান, ‘প্রত্যেক জেলা ও উপজেলার ৫ থেকে ১০ জন চাঁদাবাজ, চোরাকারবারি, মাদক ব্যবসায়ী ও কালপ্রিট আছে যারা নিজের উপজেলার মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে।’ সারজিস আলম আরও বলেন, এনসিপি দায়িত্বে এলে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নিরপরাধ নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হবে না। তবে দুর্নীতিবাজরা, তাদের নিজের দলেই থাকুক, তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে এবং দলের মধ্যে তাদের কোনো ঠাঁই থাকবে না।

লংমার্চের মাধ্যমে সারজিস আলম পঞ্চগড় শহর থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনগণের সচেতনতা সৃষ্টি করার পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন ও বিদ্যুৎ সংস্থার প্রতি কঠোর বার্তা দেন। তিনি বলেন, ‘সতর্ক না হলে রাজনৈতিক ও সামাজিক দায়িত্বহীনদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

লংমার্চে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন এবং সারজিস আলমের এই বক্তব্যে স্থানীয়রা সমর্থন প্রকাশ করেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই ধরনের সরাসরি বক্তব্য ও পদক্ষেপ রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করতে পারে এবং স্থানীয় পর্যায়ে এনসিপির প্রভাব বৃদ্ধি করতে পারে।

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ