শাপলা চত্বরের শহীদ পরিবারে সরকারি সহায়তার উদ্যোগ চূড়ান্ত পর্যায়ে

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
গত ১২ বছর ধরে শাপলা চত্বরের ঘটনায় নিহত শহীদ পরিবারের সদস্যরা কোনো ধরনের সরকারি সহায়তা পাননি। দীর্ঘ এই সময় পর অবশেষে হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পর স্থানীয় সরকার বিভাগ শহীদ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভাগীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে দ্রুততম সময়ে অর্থবহ ও কার্যকর সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, “গত ১২ বছরে শাপলা চত্বরের শহীদ পরিবারের সদস্যরা কোনো সরকারি সহায়তা পাননি। হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পর, স্থানীয় সরকার বিভাগ শহীদ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুততম সময়ে অর্থবহ ও কার্যকর সহযোগিতা পৌঁছে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করছি আমরা।”
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশ এক বৃহৎ সমাবেশ আয়োজন করেছিল। তৎকালীন আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফির নেতৃত্বে তারা ব্লগারদের ইসলামবিরোধী বক্তব্য ও নারীনীতির বিরোধিতা করে ১৩ দফা দাবি পেশ করেন।
দিনভর অবস্থান শেষে রাতেও হেফাজতের আলেম, ছাত্র ও সাধারণ মানুষ চত্বরে অবস্থান বজায় রাখেন।
গভীর রাতে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি অভিযানে নামলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। রাত তিনটার দিকে চারদিক থেকে গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপে শাপলা চত্বর ও আশপাশের এলাকা আতঙ্কে পরিণত হয়।
হেফাজতের খসড়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই অভিযানে অন্তত ৯৩ জন কর্মী নিহত হন। তালিকায় নিহতদের নাম, পরিচয় ও পরিবারের সদস্যদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যাচাই করে দেখা যায়, শহীদদের দুই-তৃতীয়াংশই ছিলেন তরুণ ও যুবক।
সংগঠনের নেতাদের দাবি, প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। দীর্ঘ এক যুগ পর সরকারের এই সহায়তা উদ্যোগ শহীদ পরিবারের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। যাচাই কাজ শেষে জেলা পর্যায়ে সহায়তা কার্যক্রম শুরু করা হতে পারে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।