গাজা যুদ্ধের সময় গোপনে ইসরায়েলের সঙ্গে সহযোগিতায় ৬ আরব দেশ

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
গাজা যুদ্ধের সময় ইসরায়েলের সঙ্গে গোপনে নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছিল ছয়টি আরব দেশ সৌদি আরব, মিশর, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও কাতার। ফাঁস হওয়া মার্কিন নথিতে প্রকাশ, ইরানবিরোধী আঞ্চলিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় এই দেশগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে সামরিক ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ে যুক্ত ছিল।
ওয়াশিংটন পোস্ট ও ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে)-এর ফাঁস হওয়া মার্কিন নথির বরাতে জানা গেছে, গাজা যুদ্ধের সময় ইসরায়েলের সঙ্গে গোপনে নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছিল ছয়টি আরব দেশ। শনিবার (১১ অক্টোবর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরব, মিশর, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও কাতার ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা গঠন’ নামে একটি শ্রেণিবদ্ধ প্রতিরক্ষা কাঠামোর অধীনে ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিল। যদিও প্রকাশ্যে তারা ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের নিন্দা জানিয়েছিল, তবুও গোপনে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে সামরিক ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় অব্যাহত ছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় গত তিন বছরে ইসরায়েল ও উল্লিখিত আরব দেশগুলোর শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা বাহরাইন, মিশর, জর্ডান এবং কাতারে ধারাবাহিক পরিকল্পনা বৈঠকে অংশ নেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা নথিতে ইরানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও ‘অ্যাক্সিস অফ ইভিল’ হিসেবে অভিহিত হুমকিকেই এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্প্রতি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি শান্তি কাঠামোর প্রথম পর্যায়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার আওতায় হামাসের হাতে আটক বন্দিদের মুক্তি এবং গাজা থেকে আংশিক ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে। এ প্রেক্ষাপটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে ২০০ সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে, যেখানে ওই আরব দেশগুলোর সৈন্যরাও যুক্ত হবে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের ২০-দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রতি আরব দেশগুলোর সমর্থন এই সহযোগিতার ধারাবাহিক অংশ।
তবে এ বিষয়ে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম), ইসরায়েল এবং সংশ্লিষ্ট আরব দেশগুলো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফাঁস হওয়া তথ্য মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং ইরানবিরোধী আঞ্চলিক জোটের বাস্তবতা আরও সুস্পষ্ট করবে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।