আমন্ত্রণ পেয়েও কেন গাজা ইস্যুতে কূটনৈতিক দূরত্ব বজায় রাখল ইরান?

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ইরান আমন্ত্রণ পেলেও গাজা যুদ্ধবিরতি শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেয়নি। শারম আল-শেখে অনুষ্ঠিত ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা আলোচনায় অনুপস্থিত থেকে তেহরান জানিয়েছে, প্রতিপক্ষদের সঙ্গে বসা সম্ভব নয়। গাজা সংঘাত, ইরান কূটনীতি, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক এই খবর বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ‘শান্তি পরিকল্পনা’ বাস্তবায়ন আলোচনা আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে মিশরের পর্যটননগরী শারম আল-শেখে। সম্মেলনে বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশের শীর্ষ নেতারা অংশ নিচ্ছেন। তবে আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও এতে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ দেওয়া এক পোস্টে বলেন, “ইরানকে শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, কিন্তু আমি বা প্রেসিডেন্ট কেউই এমন প্রতিপক্ষের সঙ্গে বসতে পারি না যারা ইরানের জনগণের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে, আমাদের হুমকি দিচ্ছে ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।”
সম্প্রতি ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের ১৩ জুন ইসরাইল সামরিক অভিযান শুরু করলে উভয় দেশের মধ্যে তীব্র সংঘাত দেখা দেয়। ইরানের বেশ কয়েকজন সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক নিহত হন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরান ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় এবং পরবর্তীতে ‘ট্রু প্রমিজ থ্রি’ নামে প্রতিশোধমূলক অভিযান শুরু করে। টানা ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ২৪ জুন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, দখলদার ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধ ও তাদের সেনা প্রত্যাহারের যে কোনো উদ্যোগকে তেহরান স্বাগত জানায়।তিনি বলেন, “ইরান এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি ছিল, এবং এখনো আছে।” অন্যদিকে, শারম আল-শেখ সম্মেলনের সহ-সভাপতিত্ব করছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে আলোচনায় ফিলিস্তিনের হামাস ও ইসরাইলের কোনো প্রতিনিধি থাকছেন না। ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা মিশরে পৌঁছেছেন।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।