আপনি কি জানেন? পদ্মফুল কিভাবে ভারতকে গর্বিত আর জাপানকে অনুপ্রাণিত করেছে!

আপনি কি জানেন? পদ্মফুল কিভাবে ভারতকে গর্বিত আর জাপানকে অনুপ্রাণিত করেছে!
ছবির ক্যাপশান, আপনি কি জানেন? পদ্মফুল কিভাবে ভারতকে গর্বিত আর জাপানকে অনুপ্রাণিত করেছে!
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

পদ্মফুল বা লোটাস (Lotus) শুধু সৌন্দর্য এবং নৈসর্গিক গুরুত্ব বহন করে না, বরং এটি ধর্ম, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও আধ্যাত্মিকতার গভীর প্রতীক। একই ফুল দুই দেশে সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থ বহন করে।

ভারতে পদ্মফুলকে জাতীয় ফুল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে কারণ এটি ভারতীয় সংস্কৃতিতে একটি শুভ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এটি জ্ঞান, প্রজ্ঞা, সম্পদ ও পবিত্রতার প্রতীক।

হিন্দু ধর্মে পদ্ম দেবী সরস্বতীর আসন এবং ভগবান বিষ্ণুর সাথে সম্পর্কিত। এটি পবিত্রতা, সৌন্দর্য, সম্পদ, ভাগ্য ও অমরত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

প্রাচীন ভারতীয় শিল্পকলা, মন্দির নির্মাণ ও পুরাণে পদ্ম একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর স্থায়ী সৌন্দর্য ও পবিত্রতা জাতীয় ফুল হিসেবে নির্বাচনের গুরুত্ব আরও বাড়ায়।

কাদা থেকে জন্মানো সত্ত্বেও পদ্ম ফুল পবিত্র ও সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে, যা মন ও আত্মার বিশুদ্ধতার প্রতীক। এই দিকটি ভারতের আধ্যাত্মিক দর্শন এবং সামাজিক নৈতিকতার সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।

অন্যদিকে, জাপানি বৌদ্ধধর্মে পদ্ম পবিত্রতা, জ্ঞান এবং পুনর্জন্মের প্রতীক। এটি জীবন ও আত্মার পরিশুদ্ধি এবং মানসিক উন্নতির সঙ্গে যুক্ত।

যদিও চেরি ব্লসম এবং ক্রিস্যান্থেমাম জাপানের সবচেয়ে পরিচিত প্রতীক, পদ্মও জাপানের শিল্পকলা, ধর্মীয় স্থাপত্য এবং সাহিত্যকর্মে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে। পদ্ম ফুল জাপানে ঐশ্বর্য, দীর্ঘ জীবন এবং সমৃদ্ধির প্রতীক। এটি শিল্প ও সাহিত্যকর্মে এমনভাবে ব্যবহৃত হয়, যা মানুষের জীবন ও আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত।

পদ্মফুল তাই কেবল একটি ফুল নয়; এটি ভারত ও জাপানের সংস্কৃতি, ধর্ম, আধ্যাত্মিকতা ও শিল্পকলার এক অনন্য মিলন। ভারতের জন্য এটি জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক, যেখানে জাপানে এটি আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যের প্রতীক।

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ