রাকসুর ফলাফল ঘোষণার সময় সেই নোমানীকে আবেগমুখর পরিবেশে স্মরণ

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রাকসু নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার সময় শিক্ষার্থীরা সাবেক ছাত্রশিবির নেতা শরিফুজ্জামান নোমানীকে আবেগমুখর পরিবেশে স্মরণ করেন। ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার নির্বাচিত হন। রাকসুতে ছাত্রশিবিরের প্রভাব, নোমানীর স্মৃতি ও শিক্ষার্থীদের স্লোগান আলোচনা হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ঘোষণা করা হয়। ফলাফল ঘোষণার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভিন্ন ধরনের উৎসাহ ও আবেগ লক্ষ্য করা যায়।
ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। বিশেষভাবে উঠে আসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানীর নাম। শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন, “নোমানীর রক্ত, বৃথা যেতে দেব না, বৃথা যেতে দেইনি, নোমানীর রক্ত!” এছাড়াও অন্যান্য স্লোগান শোনা যায়, যেমন “বিচার বিচার বিচার চাই, খুনি হাসিনার বিচার চাই!” এবং “ফ্রম দ্যা রিভার, টু দ্যা সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি!”
আনুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা গেছে, রাকসু ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে নির্বাচিত হন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাহউদ্দিন আম্মার, এবং এজিএস পদে জয়ী হন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের এস এম সালমান সাব্বির। রাকসুতে মোট ২৩টি পদের মধ্যে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ২০টিতে বিজয় অর্জন করে।
শরিফুজ্জামান নোমানী ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের সক্রিয় নেতা, যিনি শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা এবং বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষাবান্ধব কর্মসূচিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হামলায় তাঁর নিহত হওয়ার অভিযোগ ওঠে। শিক্ষার্থীরা তাঁর স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে উৎসবমুখরভাবে অংশ নেয়।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।