আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দাপটে নরসিংদীতে বিএনপির ৩শ নেতাকর্মী গ্রামছাড়া
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
-
নরসিংদীর আলোকবালীতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দাপটে বিএনপির প্রায় ৩০০ নেতাকর্মী গ্রামছাড়া। সহিংসতা, গুলিবর্ষণ ও আতঙ্কে বিপর্যস্ত জনজীবন। মেঘনা নদীবেষ্টিত এই চরাঞ্চলে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন ও অস্ত্রের মহড়া বাড়াচ্ছে উদ্বেগ।
নরসিংদীর সদর উপজেলার মেঘনা নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দাপটে বিএনপির প্রায় ৩০০ নেতাকর্মী গ্রামছাড়া হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুল্লাহ আসাদ ও চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু সমর্থিত সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা চালাচ্ছে। সম্প্রতি যুবদল নেতা সাদেক মিয়া, বিএনপি কর্মী ইদন মিয়া ও এক নারী ফেরদৌসিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসব ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক ও অস্থিরতা বিরাজ করছে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এলাকায় অবস্থান নিয়ে প্রতিনিয়ত ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে এবং সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। ফলে আলোকবালী, মুরাদনগর, বাখননগর ও বইস কালিপুর গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা এলাকায় প্রবেশ করতে গেলেই হামলার মুখে পড়ছেন। নিহতদের স্বজনদের দাবি, আওয়ামী সমর্থিত আসাদ ও দীপু বাহিনী পুনরায় এলাকায় ফিরে এসে অস্ত্র ও ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের সহায়তায় আধিপত্য বিস্তার করছে।
অন্যদিকে, এলাকাবাসীর অভিযোগ অবৈধ বালু উত্তোলনের নিয়ন্ত্রণ নিতে এসব সহিংস কর্মকাণ্ড ঘটানো হচ্ছে। তারা বলছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আসাদ ও দীপু অবৈধ বালু ব্যবসা থেকে শত কোটি টাকা উপার্জন করেছে। এখন পুনরায় সে নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতেই তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি আসাদ ও চেয়ারম্যান দীপুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তবে নরসিংদী পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম জানান, সহিংসতা বন্ধে সেখানে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে এবং কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, “যেই দাঙ্গা বা সহিংসতায় জড়িত থাকুক, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।”
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।