কোথাও আগুন দেখলে যে দোয়া পড়তে হয়

কোথাও আগুন দেখলে যে দোয়া পড়তে হয়
ছবির ক্যাপশান, কোথাও আগুন দেখলে যে দোয়া পরতে হয়
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

আগুন দেখলে যে দোয়া পড়তে হয় তা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নির্দেশিত একটি মুস্তাহাব আমল। ইসলামী আলিমদের মতে, “আল্লাহু আকবার” বলা আগুন নেভাতে সহায়ক ও বিপদ থেকে রক্ষা করে।

ইসলামী শিক্ষায় তাকবীর (আল্লাহু আকবার) উচ্চারণের রয়েছে গভীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্য। প্রাচীন ও সমসাময়িক আলিমগণ বলেন, আগুন নেভানোর সময় তাকবীর বলা মুস্তাহাব (সওয়াবের কাজ) হিসেবে গণ্য। তাদের মতে, তাকবীর উচ্চারণ আগুনের ক্ষতি ও বিপদ থেকে রক্ষা করে এবং এটি আগুন নেভাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

হাদিসগ্রন্থ আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ (ইবনুস্‌ সুন্নী, হাদিস নং ২৯৫) ও কিতাবুদ দুআ (ত্ববারনি, ১/৩০৭)-তে আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যখন তোমরা আগুন দেখো, তখন তাকবীর (আল্লাহু আকবার) বলো; কেননা তাকবীর আগুন নিভিয়ে দেয়।” এই হাদিসের আলোকে বহু ইসলামী আলেম একে আমলযোগ্য সুন্নত বা মুস্তাহাব আমল হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রহঃ) তাঁর আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা গ্রন্থে লিখেছেন, “তাকবীরের মাধ্যমে আগুন নিভে যায়, তা যত বড়ই হোক না কেন।” তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, সালাত, আজান ও ঈদের মূল চিহ্নই তাকবীর যা শয়তানকে দূরে সরিয়ে দেয়।

ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ জাদুল মা‘আদ-এ বলেন, “আগুন হচ্ছে শয়তানের মৌলিক পদার্থ, তাই তাকবীর যা আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা আগুন ও শয়তান উভয়কেই দমন করে।” তাঁর মতে, তাকবীরের মাধ্যমে আল্লাহর গরিমা আগুনের ধ্বংসাত্মক শক্তিকে পরাস্ত করে, এবং বাস্তবেও এ প্রভাব দেখা যায়।

আলেমরা বলেন, তাকবীর শুধু আগুন নেভানোর আমল নয়, এটি আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও তাওহিদের প্রকাশ। আগুন কিংবা বিপদের মুহূর্তে ‘আল্লাহু আকবার’ উচ্চারণে অন্তর প্রশান্তি পায়, আর আল্লাহর সাহায্য লাভ সহজ হয়।

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ